Cancer: বেবি পাউডারেই লুকিয়ে ক্যানসারের বিষ! সংস্থাকে ১৫০ কোটি জরিমানা করল আদালত

শিশুদের পাউডার থেকে ক্যানসার! শিশুরাও কি তবে নিরাপদ নয়? সম্প্রতি আমেরিকার একটি মামলা এই প্রশ্নই তুলে দিল সারা বিশ্ব জুড়ে। আর সেই মামলা দায়ের করা হয়েছে বিশ্ব জুড়ে খ্যাত শিশুদের প্রসাধনী নির্মাতা সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে। তাদের তৈরি নানা প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে জনসন বেবি পাউডারও। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ছোটদের এই বেবি পাউডার থেকেই মেসোথ্যালিয়োমা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: অঙ্কে সেরা ভারত! আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে ১১৮টি দেশ হারিয়ে দারুণ জয়

আরও পড়ুন: সিংহের পাশে বসে এ কী করছেন তরুণী! ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে চোখ কপালে উঠল নেটিজেনদের

প্রসঙ্গত, মেসোথ্যালিয়োমা এমন একটি ক্যানসার যা শরীরের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আবরণে দেখা দেয়। অর্থাৎ পাকস্থলী, ফুসফুস ইত্যাদি প্রত্যঙ্গগুলির বাইরের আবরণে দেখা দেয় এই ক্যানসার। এমরয় হার্নানডেজ় ভালাডেজ় নামের ওই ব্যক্তির দাবি, জনসন বেবি পাউডারের কারণেই এই মারণরোগ হয়েছে তাঁর। মামলার রায়ে ব্যক্তির সপক্ষেই রায় দেয় আদানত। ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডের স্টেট কোর্ট নির্দেশ দেয়, জনসন অ্যান্ড জনসনকে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এই মর্মে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৪৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার সমান। শুধু তাই নয়, পাউডার নিয়ে এমন যতগুলি অভিযোগ ছিল, সেগুলিরও দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইদানীং, আমেরিকায় ১০ হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা হয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। তাই এই রায় স্বাস্থ্যের দিক থেকে নতুন দিশা দেখাতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।

জনসন অ্যান্ড জনসন অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য মানুষের উপরে তাদের দ্রব্য পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। জনসনের সবকটি দ্রব্যই সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং অ্যাসবেস্টসমুক্ত। শুনানির সময় এই নিয়ে আবেদন জানানোর কথাও বলেছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, এর আগেও এই ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে। জনসন অ্যান্ড জনসনের ভারতীয় শাখাও বেশ কয়েকবার বিতর্কের শিরোনামে উঠে আসে। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, জনসন বেবি পাউডারে রয়েছে অ্যাসবেস্টসের মতো ক্ষতিকর খনিজ পদার্থ। উচ্চ তাপ শোষণের ক্ষমতা রয়েছে এই খনিজ পদার্থের। এই পদার্থ একবার শরীরে ঢুকলে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এই মামলায় অভিযোগকারী এমরয় হার্নানডেজ় ভালাডেজ়ের ক্ষেত্রেও তেমন প্রমাণ মিলেছে। এমরয়ের মা অ্যানা কামাচো আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর সন্তানকে একেবারে শিশু বয়স থেকেই এই পাউডার মাখিয়ে এসেছেন তিনি। অ্যাসবেস্টসের মতো ক্ষতিকর উপাদান থাকার তথ্য লুকিয়েই নাকি বছরের পর বছর বেবি পাউডার বিক্রি করে গিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।