Surat Diamond Bourse: বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিসবাড়ি তৈরি হল ভারতে! সুরাটের এই অফিসে হবে কোন কোন কাজ

বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা হিরের শহর বললেই কোন নামটা মনে পড়ে? অনেকেই বলবেন, বেলজিয়ামের আন্টওয়ার্প শহরের নাম। কিন্তু আদতে ভারতেরই একটি শহর হিরের ভাণ্ডার হিসেবে নাম করে নিয়েছে বিশ্বের আঙিনায়। আর সেটা মোদীর রাজ্যেরই একটি শহর। সুরাট। সুরাটেই রয়েছে হিরের সবচেয়ে বড় বাজার‌। সম্প্রতি এর সঙ্গেই আর একটি নতুন তকমা জুড়ে নিল মুম্বইয়ের ১৫০ মাইল উত্তরের এই শহর। হিরে শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও ব্যবসায়ীদের নতুন ইমারত গড়া হল সেই শহরে। যা আকার আয়তনে ছাপিয়ে গিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস আমেরিকার পেন্টাগনকেও!

আরও পড়ুন: বন্যার বিপদে ভারতের বিশাল সংখ্যক মানুষ! ভয়ঙ্কর কথা জানাল সমীক্ষা

আরও পড়ুন: চোখ মারারও ইতিহাস আছে! প্রথম কে চোখ মেরে ‘ইঙ্গিত’ করেন? জানলে মজা পাবেন

রাশিয়া বা আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি হিরে উত্তোলন করা হলেও সুরাটেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিরের বাজার। সেই বাজারটিকেই এবার পরিপাটি রূপ দিতে তৈরি করা হল সুরাট ডায়মন্ড বোর্স। সেখানেই এবার থেকে দেখা মিলবে ৬৫ হাজার হিরে কর্মীদের। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন হিরে ব্যবসায়ীরা, তেমনই রয়েছেন হিরের কারিগর। প্রসঙ্গত, বিশ্বের ৯০ শতাংশ হিরে কাটা হয় সুরাটেই। মোট ৭১ লাখ স্কোয়ার ফুট ফ্লোর স্পেস নিয়ে তৈরি সুরাটের এই অফিস। চার বছর ধরে চলেছে এই বিশাল ইমারত গড়ার কাজ। চলতি বছরের নভেম্বরে হিরের কর্মীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই বিশাল অফিস। প্রসঙ্গত, কোভিডের কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল ইমারতটির নির্মাণ কাজ। 

খবর, চলতি বছরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই উদ্বোধন হবে এই বিশাল আকারের অফিসটির। প্রসঙ্গত ১৫ তলা উঁচু এই বিশাল অফিসে নয়টি আলাদা আলাদা বহুতল রয়েছে। বহুতলগুলির মাঝখান দিয়ে একটি মেরুদণ্ডের মতো করিডর রয়েছে। এর মাধ্যমেই জোড়া লাগানো হয়েছে নয়টি বহুতলকে। মার্বেল পাথরের মেঝে ও আলোয় ভর্তি করিডরের সাহায্যে যুক্ত রয়েছে মোট ৪৭০০টি অফিস এলাকা। ৩২ হাজার কোটি খরচ করে তৈরি এই বহুতলে শুধু এলিভেটরের সংখ্যাই ১৩১পি। এছাড়াও রয়েছে, খাওয়াদাওয়ার জায়গা থেকে কনফারেন্স হলও।  

এই গোটা প্রকল্পটির সিইও মহেশ গাধাভি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সুরাট ডায়মন্ড বোর্স তৈরির ফলে হাজার হাজার লোকের যাতায়াতের কষ্ট বাঁচবে। এঁদের অনেককেই মুম্বইও যেতে হয় ব্যবসার কাজে। সেই সব দিক থেকেই রেহাই মিলবে বলে জানান তিনি। রোজ তিন থেকে চার ঘণ্টা এই যাতায়াতের পিছনেই চলে যায়। সেই হিসেবে এক জায়গা অফিস হওয়ায় সেই সমস্যা এড়ানো যাবে।