পুলিশের গুলিতে মাদক ব্যবসায়ী নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারের সময় হ্যান্ডকাফসহ আইয়ুব নূরকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

আইয়ুব নূর ওই এলাকার মন্তু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় সালমা (২৩) ও আকাশ (৭১) আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার আদমপুর গ্রামে আইয়ুব নূরের বাড়িতে অভিযান চালায়। তার পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এরমধ্যে আইয়ুব নূরের নামে পাঁচটি, তার দুই ছেলে আরিফ নূরের নামে পাঁচটি, তোফাজ্জলের নামে ১০টি পুলিশের ওপর হামলা ও মাদক মামলাও রয়েছে৷ আরিফ নূরের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। 

ওসি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে এসআই সাঈদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আরিফকে গ্রেফতার করতে যায়। আরিফকে গ্রেফতারের পর নিয়ে আসার সময় তার পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে পুলিশকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে হ্যান্ডকাফসহ আরিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষায় রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামের এক কিশোর। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান আইয়ুব নূর। অপর দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরমধ্যে এএসআই মামুন ও তুষারসহ কনস্টেবল রয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, মাদক মামলার আসামি ধরতে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় আত্নরক্ষায় গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে পাঁচ মাদক মামলার আসামি আইয়ুব নূর প্রাণ হারান। মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে ঘটনার পর বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাওন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার খোঁজ খবর নেন।