Pak economy-৩ বিলিয়নের লাইফলাইনও যথেষ্ট নয় পাকিস্তানের জন্য, আশঙ্কা করছে IMF

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেন ক্রমশ খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। আইএমএফ ও অন্যান্য বন্ধু দেশগুলির কাছ থেকে আর্থিক পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সাফল্য যেন আসতেই চাইছে না।

আইএমএফ তার সর্বশেষ রিপোর্ট জানিয়েছে যে, ৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ ছাড়াও আসন্ন নির্বাচনের পরে পাকিস্তানের আরও একটি আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের প্রয়োজন হবে। এমন পরিস্থিতিতে এবার জানা গিয়েছে আইএমএফ-এর কাছে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে অনুরোধ-অপেক্ষার পরে শেহবাজ শরিফ সরকার অত্যন্ত কঠোর শর্তে ঋণ দিয়েছে।

১২০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে আইএমএফ জানায়, দেশজুড়ে অর্থ আদান-প্রদানে ভারসাম্য বজায় রাখতে পাকিস্তানের বর্তমান ঋণের পাশাপাশি আরও অর্থের প্রয়োজন হবে। আইএমএফ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে, দ্বিতীয় আর্থিক সহায়তা প্যাকেজটি পাকিস্তানে কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা আনবে। কিন্তু আর আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাটি তাদের মূল্যায়নে বলেছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি অত্যন্ত জটিল এবং বহুমাত্রিক সমস্যায় তারা জর্জরিত।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,আরও সাহায্য প্রয়োজন পাকিস্তানের। আইএমএফ এই পর্যায়ে মাত্র ৩০০ কোটি ডলার মঞ্জুর করেছে। কিন্তু, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে পাক অর্থনীতির গতি ফেরাতে হলে আগামী দু’বছরে অন্তত ২০০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কারণ, একদিকে বিদেশি ঋণ এবং অন্যদিকে সুদের বোঝা, দুইয়ের সাঁড়াশি চাপে নাজেহাল দশা পাকিস্তানের। তাদের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণও কমে ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে তাই বিপদ কাটার কোনও লক্ষ্যণই দেখা যাচ্ছে না পাকিস্তানের অর্থনীতিতে।

সংবাদ মাধ্যমগুলির তথ্য বলছে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ‘দামি’ আটা বিক্রি হচ্ছে রাজধানী করাচিতে। ‘পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স’-এর একটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কুড়ি কিলো আটার দাম পড়ছে ৩২০০ টাকা। অর্থাৎ, কিলো প্রতি আটা পৌঁছেছে ৩২০ টাকায়। অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়া পাকিস্তানে এখন অগ্নিমূল্য দরে পুড়ছে দেশের মানুষ।

বিদেশি মুদ্রার তহবিল তলানিতে ঠেকায় আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। যার প্রভাবে আবার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। নাজেহাল দশা সাধারণ মানুষের। গত কয়েক দিনে মূল্যবৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.৫ শতাংশে। ১৯৭৪ সালের পর থেকে যা সর্বোচ্চ রেকর্ড করল। হুহু করে নেমেছে পাকিস্তানি রুপির দামও। আমেরিকার এক ডলার এখন পাকিস্তানে ২৭৭ টাকার সমান। চরম বিপদে প্রতিবেশী দেশটি।