UP ATS on Seema Haider: পাকিস্তানি ‘PUBG প্রেমিক’ সীমার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি পাসপোর্ট, জানাল UP ATS

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় যুবকের সঙ্গে পাক মহিলার ‘পাবজি প্রেম’ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। এরই মাঝে এবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করেছে যে তারা পাকিস্তানি নাগরিক সীমা গোলাম হায়দারের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, পাঁচটি পাসপোর্ট এবং দুটি ভিডিয়ো ক্যাসেট উদ্ধার করেছে। পুলিশ দাবি করেছে যে সীমা হায়দার ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁর পাকিস্তানের বাড়িটি ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। এরপর ১৫ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই-নেপাল হয়ে ভারতে আসেন। সীমা হায়দারের কাহিনী সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়, সত্যি কি প্রেমের টানে ভারতে এসেছেন সীমা? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও মতলব?

দাবি করা হয়, পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন সীমা হায়দার। এরপর প্রেমের টানেই নেপাল হয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে এসেছিলেন। ধরাও পড়েন। সম্প্রতি জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সীমা। ছাড়া পেয়েছেন তাঁর প্রেমিক সচিন মীনাও। ফের একবার মিলিত হয়েছেন তাঁরা। তাঁর দাবি, গত মার্চে নেপালে দু’জনে বিয়ে করেছিলেন। তারপর থেকেই তিনি সচিনের ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এমনকী তাঁর চার সন্তানও সচিনকে ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করে বলে জানান সীমা।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ সীমাকে গ্রেফতার করেছিল অবৈধ ভাবে দেশে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে। এদিকে সচিন ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করা হয় অনুপ্রেবেশকারী আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে। সীমা ও সচিন, দু’জনই দাবি করেন, ‘গদর’ সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে ততই সীমার সম্পর্কে নতুন নানা তথ্য সামনে আসছে। উত্তরপ্রদেশ এটিএস জেরা করেছে সীমা আর সচিনকে। সেখানে সীমা স্বীকার করে নেন, তার এক ভাই পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে রয়েছে।

সীমার প্রথম পক্ষের স্বামী গুলাম হায়দারও এর আগে দাবি করেছিলেন, সীমার ভাই আসিফ ও তার কাকা গুলাম আকবর পাক সেনাতে রয়েছে। আসিফ করাচিতে রয়েছে। এদিকে গুলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সীমার কাকা ইসলামাবাদে সেনার উঁচু পদে রয়েছেন। এদিকে সীমার সঙ্গে পাক যে পরিচয়পত্র রয়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জন্মের পরে যে আই কার্ড পাওয়ার কথা সেটার ইস্যুর তারিখ দেখাচ্ছে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। এই আবহে আইএসআইয়ের সঙ্গে তার কোনও যোগ রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে।