Viral news: সাতদিন ধরে একনাগাড়ে কাঁদছেন এই যুবক! কী হয়েছে তাঁর? জানলে চমকে উঠতে পারেন

গিনিস বুকে নাম তোলার যেন হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ইদানীং, নাইজেরিয়া দেশটির নাম উঠলেই অনেকে এই কথা বলেন। এবং কথাটি মিথ্যেও নয়। সম্প্রতি বিভিন্ন আজব কাণ্ড ঘটিয়েও গিনিসে নাম তুলছেন অনেকে। এবার সেই পন্থাই বেছে নিয়েছে নাইজেরিয়ার নাগরিকরা। তুলনামূলকভাবে আফ্রিকার এই দেশটির অনেকেই ইদানীং গিনিসে নাম তোলার নেশায় মেতেছেন। সম্প্রতি তেমনই এক আজব ঘটনা উঠে এ সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। এক যুবককে দেখা গেল সাতদিন ধরে টানা কাঁদতে। কেন এই কান্না? জানা গেল গিনিসে নাম তুলতে এই উপায়টিই বেছে নিয়েছেন তিনি। তবে এর জেরে বিপাকেও পড়তে হয় তাঁকে। ওই অবিরাম কান্নার মধ্যেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘন্টা ওভাবেই অজ্ঞান হয়ে ছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন: অঙ্কে সেরা ভারত! আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে ১১৮টি দেশ হারিয়ে দারুণ জয়

আরও পড়ুন: সিংহের পাশে বসে এ কী করছেন তরুণী! ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে চোখ কপালে উঠল নেটিজেনদের

একটানা সাতদিন ধরে কেঁদে কেমন লাগল? এই প্রশ্নই করা হয়েছিল তাঁকে। টেম্বু এবের নামের ওই ব্যক্তি বলেন, কাঁদতে কাঁদতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে মাথা ব্যথাও শুরু হয়ে যায় তাঁর, চোখ ফুলে যায়। এমনকী মুখও ফুলে যায়। তবে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, কাঁদার সময় গলার আওয়াজ আরও উচ্চস্বরে হওয়া জরুরি ছিল। গিনিস বুকে নাম তোলার জন্য কাঠখড় পোড়াতে তিনি প্রস্তুত বলেই জানান সংবাদ মাধ্যমকে।

তবে নাইজিরিয়াতে এর আগেও গিনিস বুকে নাম তোলার এমন নানা প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছে। এই দেশের রাঁধুনি হিলদা বাসি ১০০ ঘন্টা ধরে রান্না করে নাম তুলেছেন গিনিসের খাতায়। নাইজিরিয়ার খাবারকে বিখ্যাত করতেও এই চেষ্টা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, হিলদার প্রচেষ্টা এতটাই বিখ্যাত হয়েছে যে গিনিসের ওয়েবসাইট দুদিনের জন্য ক্র্যাশ করে যায়। গিনিসে নাম ওঠার পর সেলেবরাও তাঁকে অভিবাদন জানায়। একইসঙ্গে নাইজিরিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্টও প্রশংসা করেন তাঁর। প্রসঙ্গত, হিলদা ৯৩ ঘন্টা ১১ মিনিট টানা রান্না করেছেন। যা ভেঙে দিয়েছে ভারতের রেকর্ডকেও।

অন্যদিকে, নাইজিরিয়ার স্কুলের শিক্ষক জন ওবটও গিনিস বুকে নাম তোলার নেশায় মেতেছিলেন। তার জন্য তিনি বেছে নেন টানা বই পড়াকে। গত সেপ্টেম্বরে টানা ১৪০ ঘন্টা বই পড়েছেন তিনি। ক্লাসিক সাহিত্য পড়ার ওই চ্যালেঞ্জ অবশ্য তাঁর কথায় অনেকটাই অর্থবহ। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, অন্যদের মতো আজব চ্যালেঞ্জ নয় তাঁর বই পড়া।