Manipur incident Latest Update: মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন ঘোরানোর ঘটনায় অভিযুক্তর বাড়িতে আগুন ধরাল উত্তেজিত মহিলারা

মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৪ জনকে। ঘটনার ৭৭ দিন পর রাজ্য সরকার এই নিয়ে পদক্ষেপ করেছে। তাও এই ঘটনার এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। এই আবহে চাপের মুখে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। আর এবার উত্তেজিত জনতা ধৃত অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হুইরেম হেরোদাস মেইতেইয়ের বাড়িতে জনতা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একদল বিক্ষোভকারী হুইরেমের বাড়িতে আগুন ধরাচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা।

মণিপুরে তিন মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো এবং গণধর্ষণের মামলায় মূল অভিযুক্ত হুইরেমকে গ্রেফতার করা হয় গতকাল। ঘটনার ৭৭ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে বিবস্ত্র মহিলাদের সেই ভিডিয়ো সরাতে আদেশ জারি করেছে কেন্দ্র। এদিকে গতকাল সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘মণিপুরের এই ঘটনা দেশের লজ্জা।’ পাশাপাশি তিনি জানান, দোষীদের কড়া শাস্তির জন্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এদিকে গতকালকের পর আজও মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। দফায় দফায় মুলতুবি হচ্ছে সংস

জানা গিয়েছে, ভাইরাল ভিডিয়োর ঘটনাটি ঘটে ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে কাংপোকপি জেলায়। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য আতঙ্কে বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশের হাত থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ৫৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। তারপর তিনজন নারীকে নগ্ন করিয়ে হাঁটানো হয়। ২১ বছর বয়সি এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিন মহিলা কোনওরকমে পালিয়ে যান। ২১ জুন অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশে।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রেহাই পাচ্ছে না মহিলা ও শিশুরাও।