হালদার হয়েছেন বর, ‘ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট জমা’ TMC প্রার্থীর, তলব রিপোর্ট

পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে জাল এসি সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্ট একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই প্রার্থী জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটের সংরক্ষিত আসনে লড়াই করার জন্য তিনি জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে। এই মামলায় বিচারপতি এসডিও’র কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের ওই আসনের সমস্ত ব্যালট পেপার এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: মক্কায় বসে মিনাখাঁয় মনোনয়ন-কাণ্ডে সরকারি অফিসারদের ঘিরে বড় নির্দেশ কোর্টেের

পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার তুমুল ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। বুথে-বুথে চলেছিল দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে। পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পরেও নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। মামলার অনুযায়ী, হাওড়ার সাঁকরাইল জেলা পরিষদের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন অপর্ণা বর। তবে ওই আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষণ ছিল। সেইমতো নিজের এসি সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল প্রার্থী। নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন অপর্ণা। কিন্তু ভোটে জেতার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো এসি সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

মামলাকারীর অভিযোগ, ওই তৃণমূল প্রার্থীর বিয়ের আগে পদবি ছিল হালদার। কিন্তু বিয়ের পর পদবি বদলে হয়েছে বর। সেক্ষেত্রে কীভাবে তিনি তফসিলি জাতি শংসাপত্র পেতে পারেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী। শুধু তাই নয়, এসডিও কীভাবে তাঁকে শংসাপত্র দিলেন? তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।  

এই অভিযোগ তুলে মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে জেলা পরিষদের ওই প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিল করে দেওয়া হয়। কারণ তিনি ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়েছেন। যেহেতু ওই আসনটি সংরক্ষিত ছিল, তার ভিত্তিতে যেন পদক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর গতকাল বিচারপতি অমৃতা সিনহা সংশ্লিষ্ট এসডিওর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। তাছাড়া নির্বাচনের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে। তার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।