প্রেমের সম্পর্ক মানতে নারাজ, বোনের মাথা কেটে সোজা থানায় গেল দাদা

হাড়হিম ঘটনা ঘটল যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। দাদার অমতে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বোনের।  কিন্তু, সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি দাদা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাই নিয়ে বচসার জেরে বোনের শিরচ্ছেদ করলেন দাদা। শুধু তাই নয়, শিরচ্ছেদ করার পর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন দাদা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতি মধ্যেই খুনের অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম রিয়াজ। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে যুবকের শিরচ্ছেদ করে ভিডিয়ো পাঠানো হল ISIS জঙ্গিকে, গ্রেফতার ২

পুলিশ সূত্রের খবর, রিয়াজ বারাবাঁকির ফতেহপুর এলাকার মিঠওয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। মৃতের নাম আসিফা। রিয়াজ একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বোনের শিরচ্ছেদ করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ তার কাছ থেকে ঘটক অস্ত্র এবং কাটা মুণ্ডু উদ্ধার করেছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশুতোষ মিশ্র জানিয়েছেন। মিশ্র বলেন, আশিফা সম্প্রতি গ্রামেরই যুবক চাঁদ বাবুর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে, পুলিশ কয়েক দিন পরে আশিফাকে উদ্ধার করে এবং মহিলার পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুকে গ্রেফতার করে।  ধর্ম একই, জাতও এক। তাতেও দুজনের সম্পর্ক মেনে নেয়নি আসিফার পরিবার। তাঁরা দুজনে মিলে কিছুদিন আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাতেই দুই পরিবারের মধ্যে তুলকালাম বেঁধে যায়। আসিফাকে খুঁজে বের করে ঘরে আনার পরেই শুক্রবার এনিয়ে ভাই-বোনের মধ্যে তুমুল বিবাদ শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটায় আসিফ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আসিফাকে যেখানে খুন করা হয়েছে সেখানে পুলিশের দল পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। ঘাতক অস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রথম থেকেই রিয়াজ তার বোনের সম্পর্কের বিরোধিতা করত এবং এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। প্রসঙ্গত এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এই ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, আসিফার প্রেমিক এখনও জেলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আসিফার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবাংলাতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।