বাংলাদেশে ফের ভাঙচুর হল একের পর এক প্রতিমা, তাড়া করে খলিল মিয়াকে ধরল হিন্দুরা

বাংলেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নে মুখে। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে সেদেশের হাসিনা সরকার। ফের একবার সেদেশে উগ্রপন্থী ইসলামিক হামলার মুখে পড়লেন হিন্দুরা। এবার ত্রিপুরা সীমান্ত লাগোয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর করা হল একের পর এক প্রতিমা। ঘটনায় ১ চরমপন্থী ইসলামি জঙ্গিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা।

ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় সময় ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ দুর্গামণ্ডপে হামলা চালায় এক চরমপন্থী ইসলামি দুষ্কৃতী। সেখানে রাখা দুর্গাপ্রতিমাসহ একের পর মূর্তিতে ভাঙচুর চালায় সে। স্থানীয়রা বেরিয়ে এসে খলিল মিয়া (৩৬) নামে ওই জঙ্গিকে ধরে ফেলে। ধৃতের বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার চটিপাড়া গ্রামে বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে রাতে সেখানে পৌঁছন প্রশাসনের আধিকারিকরা। নিয়ামতপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি জগদীশ দাস বলেন, ‘রাতে হঠাৎ খলিল মিয়া নামে এক ব্যক্তি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করতে শুরু করে। বিষয়টি বুঝতে স্থানীয় হিন্দুরা তাকে তাড়া করে ধরে ফেলে। থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।’

স্থানীয় পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত খলিল মিয়ার বিরুদ্ধে আগে থেকেই পুলিশের খাতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে কেন হামলা চালাল তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

এই ঘটনায় নিয়ামতপুরে হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে তারা।