Visva Bharati University: অমর্ত্য সেনের ‘জমি পুনরুদ্ধারে কেউ বাধা দিতে পারবে না’, হুঁশিয়ারি বিশ্বভারতীর

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি বিতর্ক নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এরইমধ্যে জমি সংক্রান্ত প্রেস বিবৃতি জারি করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রেস বিবৃতিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, ১৩ ডেসিমেল জমি অবৈধভাবে দখল করে রয়েছেন নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন। যদিও সিউড়ি আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের এই জমি নিতে পারবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তারপরেও কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। 

আরও পড়ুন: ‘‌বিশ্বভারতী নিজের লক্ষ্য থেকে এক পা’‌ও সরবে না’‌, অমর্ত্যকে পাল্টা হুঁশিয়ারি

প্রেস বিবৃতিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অনেক অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অমর্ত্য সেনের কাজকে সমর্থন করেন। তাঁকে কোটি-কোটি মানুষ শ্রদ্ধা করেন ঠিকই। কিন্তু নিজেদের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও হটবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অমর্ত্য সেন অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রয়েছেন কর্তৃপক্ষ, সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করবেই। উপাচার্যের ধর্মই হল বিশ্বভারতীর সম্পত্তি রক্ষা করা, বিশ্বভারতী জমি পুনরুদ্ধার করা। কোনও শক্তি উপাচার্যকে সেই কাজ থেকে বাধা দিতে পারবে না।’ প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের জমি দখল করার জন্য আইনিভাবে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। 

উল্লেখ্য, বোলপুর মহকুমার সুরুল মৌজার ১৯০০/২৪৮৭ দাগ এবং ২৭০ খতিয়ান নম্বরের জমিটির মিটেশন অমর্ত্য সেনের নামে রয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নথিতেও তাঁর নাম রয়েছে। অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনের নামে সেই জমিটি ছিল। পরে তিনি অমর্ত্য সেনের নামে করে দেন। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, ১৯৪৩ সালে অমর্ত্যর বাবা আশুতোষকে ১.৩৮ একর জমি লিজ দেওয়া হয়নি, ১.২৫ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। তাই অমর্ত্যর বিরুদ্ধে ১৩ ডেসিমেল জমি দখলের অভিযোগ করে আসছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এখন নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এদিন প্রেস বিবৃতিতে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিকদের স্বাক্ষর রয়েছে। এ নিয়ে তীব্র নিন্দা করেছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা। তাঁদের মতে, এটা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিবৃতি হতে পারে না। দেখে মনে হচ্ছে এটা রাজনৈতিক দলের বিবৃতি। বিশ্বভারতীর কর্মীদের একাংশ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্বভারতীর কোনও বিষয়ে জনসংযোগ মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলে না। তাহলে হঠাৎ কেন অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে এতো প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। উল্লেখ্য, অমর্ত্য সেনকে এর আগে দখলদার বলে কটাক্ষ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পালটা অমর্ত্য সেন আইনের লড়াইয়ের পথে বেছে নেন।