Fossil in Birbhum: দেড় কোটি বছরের ইতিহাস থমকে আছে বীরভূমে, আমখইয়ের জীবাশ্ম আনছে হেরিটেজ স্বীকৃতি

যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্যরতন। শান্তিনিকেতনের কাছে ইলামবাজারে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় কার্যত সেই অমূল্যরতনের সন্ধান মিলেছে। ইতিহাসের দৃষ্টিভঙ্গিতে, ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে তা অমূল্য। যা মিলেছে তাতে ইতিহাসের মোড় ঘুরে যেতে পারে।

মোটামুটি বছর সাতেক আগের ঘটনা। বন দফতরের উদ্যোগে এলাকায় পুকুর খননের কাজ চলছিল। সেই সময় বিভিন্ন গাছের ফসিলের মতো কিছু সামগ্রীর খোঁজ মিলেছিল। এরপর এনিয়ে হইচই পড়ে যায়। এরপর এনিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। আর তারপরই উঠে এসেছে ইতিহাসের অমূল্য আকর। সেখানে বলা হচ্ছে, যে ফসিলগুলি মিলেছিল তা আসলে উড ফসিল। আর সেটা প্রায় দেড় থেকে দুকোটি বছরের প্রাচীন। সুপ্রাচীন কাল যেন থমকে রয়েছে এই ফসিলে। আপাতত জায়গাটিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি এখন উড ফসিল পার্ক বলে পরিচিত।

ধারণা করা হচ্ছে, রাজমহল পাহাড়, ছোটনাগপুর মালভূমি এলাকায় সেই প্রাচীনকালে সম্ভবত ঘন জঙ্গল ছিল। হয়তো সেই সময় কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে গাছপালা সব ভেসে এসে আমখই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। এরপর সেখানেই পড়ে থাকে ওই গাছ। এরপর শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে। মাটির নীচে চাপা পড়েছিল ওই গাছ। একটা সময় তা ক্রমেই প্রস্তরীভূত শিলায় পরিণত হয়। ইতিমধ্য়েই এই উড ফসিল দেখার সুযোগ পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে এই ফসিল। এই জায়গাটিকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে।

জায়গার নাম আমখই। একেবারে প্রাচীন কালের সাক্ষ্য বহন করছে এই জায়গা। ভূতাত্ত্বিকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এই আমখই। গবেষণালব্ধ যে ফল পাওয়া গিয়েছে তা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে নিয়েছে বীরভূমের এই অখ্য়াত গ্রাম। এখান থেকে প্রাপ্ত জীবাশ্ম লখনউয়ে বীরবল সাহানি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে যে ইঙ্গিত মিলেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এগুলি মায়োসিন যুগের। অর্থাৎ প্রায় দু কোটি বছরের পুরানো এই জীবাশ্ম।