TMC Minister on Maldah Incident: মণিপুরের পুনরাবৃত্তি মালদায়? ‘ওরা চুরি করছিল’, নির্যাতিতাদের নিয়ে বললেন মন্ত্রী

মাদায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। এই ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে মতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অমিত। এই আবহে এবার মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়ানোর কোনও মানে হয় না।’ তাঁর কথায়, ‘এটা একটা চুরির ঘটনা।’ এদিকে ঘটনায় অন্যতম এক নির্যাতিতার মেয়ে দাবি করেন, তাঁর মা ও কাকিমা বাজারে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। মিথ্যা ভাবে চোর অপবাদ দিয়ে তাঁদের সঙ্গে এই আচরণ করা হয়েছে। এর আগে গত পরশু রাতে হাওড়ার পাঁচলা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির অমিত মালব্য। তবে গতকাল সেই ঘটনার সত্যতা খণ্ডন করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। আর আজ একেবারে ভিডিয়ো পোস্ট করে দীর্ঘ টুইটে মালদার এই ঘটনা তুলে ধরেন অমিত মালব্য। (আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে আরও এক মণিপুরি বিভীষিকা, ২ বোনকে গণধর্ষণ করে খুন ইম্ফলে, ধৃত ০!)

বিজেপি নেতার অভিযোগ, মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়া হাট এলাকায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করা হয়েছিল। এই ঘটনা নাকি গত ১৯ জুলাইয়ের। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। এই অভিযোগের জবাবে আজ শশী পাঁজা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মালদার ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না। এটি একটি চুরির ঘটনা, যেখানে দুই মহিলা বাজার থেকে কিছু চুরি করার চেষ্টা করেছিল। একদল মহিলা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরই তাদের মারধর শুরু করে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।’

এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সকালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে টুইট করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। টুইট বার্তায় অমিত মালব্য লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক অব্যাহত রয়েছে। মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়া হাট এলাকায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে, নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয় এবং তাঁদের মারধর করা হয়। এই ঘটনার সময় পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ জুলাই সকালে। এই নির্যাতিত মহিলারা সামাজিকভাবে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের। তাঁদের রক্তের জন্য উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল জনতা… এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয় ‘ভেঙে’ যাওয়া উচিত ছিল। তিনি নিছক অভিনয়ও করতে পারতেন। যেহেতু তিনি বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও… কিন্তু তিনি কিছুই করেননি। তিনি এই বর্বরতার নিন্দা করেননি। তিনি এতে ব্যথা ও যন্ত্রণাও প্রকাশ করেননি। কারণ এটি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নিজের ব্যর্থতা প্রকাশ করছে।’