কাজের লোভ দেখিয়ে যৌনপল্লিতে পাচারের ছক, শিলিগুড়িতে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি মহিলা

বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা হয়েছিল এপার বাংলায়। উদ্দেশ্য ছিল এ রাজ্যের নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রি করা। তবে পাচারকারীদের উদ্দেশ্য বিফলে গেল। পাচারের আগে তিন ভারতীয় এজেন্ট এবং পাঁচ বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে তিন ভারতীয় এজেন্টকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  

আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার নাম করে দুবাইয়ে পাচার বাংলার একদল যুবককে, ফেরানোর আর্জি

গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হানা দেয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে পাঁচজন বাংলাদেশি মহিলা সহ-তিনজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং এনজেপি থানার পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, শনিবার এই পাঁচজন মহিলাকে নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিল পাচারকারীরা। শনিবার সারারাত পায়ে হেঁটে তারা ভারতের সীমান্তের কাছে এসে পৌঁছায়। উত্তর দিনাজপুর জেলার দোমোহনা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমানা দিয়ে এই পাঁচজন মহিলা ভারতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে তাদেরকে পাচারকারীরা নিয়ে আসে এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। সেই সময় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের কাছে গোপন খবর আসে। সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের সন্দেহ এই ঘটনার সঙ্গে বড় কোনও আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের হাত রয়েছে। তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত ভারতীয় এজেন্টদের নাম হল সঞ্জয় রায়, ফণী রায় এবং সন্তু রায়। তারা শিলিগুড়ি নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার বাসিন্দা। ওই তিনজন বাংলাদেশি মহিলাদের এপার বাংলায় কাজের প্রলোভন দেখিয়েছিল। তবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল মহিলাদের অন্যত্র প্রচার করা। মহিলারা পুলিশকে জানিয়েছে তাদের মোটা টাকার কাজের প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। তারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকায় এপার বাংলায় কাজ করতে রাজি হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি মহিলাদের কাছে কোনও নথিপত্র ছিল না। ধৃতদের সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে ভারতীয় এজেন্টদের পুলিশ হেফাজত এবং বাংলাদেশি মহিলাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এবিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি শুভেন্দ্রকুমার জানান, তিন ভারতীয় এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে আরও কারা জড়িয়ে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।