রাজভবনের পথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়, জরুরি বিষয়ে বৈঠক করতেই হঠাৎ হাজির

আজ, মঙ্গলবার রাজভবনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রাজভবনে হাজির হবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাতের আবহেই রাজভবনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই আজ রাজ্যপালের সঙ্গে কোন বিষয়ে জরুরি বৈঠক করবেন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এদিকে সংঘাতের আবহের মধ্যেই আবার মুখোমুখি হচ্ছেন যুযুধান প্রতিপক্ষ। সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিধানসভার বাদল অধিবেশনের ফাইলে সই করেননি। তখন পাল্টা বিধানসভা ভবনে যে মন্ত্রিসভার বৈঠক করার কথা ছিল তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নবান্নে। সুতরাং দু’‌পক্ষের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ দেখা দেয়। যদিও পরে সেই ফাইলে রাজ্যপাল সই করলে ২৪ জুলাই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়। এখানে সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি বিধায়করা এবং আইএসএফ বিধায়ক অনুপস্থিত থাকেন। তার মধ্যেই বিধানসভা বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়ে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায় আসার দিন বদল হয়েছে। প্রত্যেক শুক্রবারের পরিবর্তে প্রত্যেক সোমবার তিনি আসবেন বিধানসভায়।

অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই সংঘাত তৈরি হয় রাজভবন–নবান্নের মধ্যে। পাশাপাশি শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত লেগেই রয়েছে। সেটা চরমে পৌঁছয় শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করার মধ্যে দিয়ে। এখন বিধানসভার বাদল অধিবেশন চালু হতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’‌পক্ষের সংঘাত কমাতেই আজকের এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। যদিও ঠিক কোন বিষয় নিয়ে বৈঠক?‌ তা জানা যায়নি। তবে রাজ্যপাল সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ ধূপগুড়ি আসনটি কি হাতছাড়া হয়ে যাবে বিজেপির?‌ দলের অন্দরেই গুঞ্জন শুরু

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এখন সংসদে মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস–সহ সব বিরোধী দল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এখন নয়াদিল্লিতেই আছেন। স্ত্রী ও কন্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী নয়াদিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। আবার আজকে বিধানসভা ঘুরে রাজধানী পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিরোধী দলনেতা। এই সরকার ফেলে দিতে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তার মধ্যে ইন্ডিয়া টিম গড়ে পাল্টা চাপে ফেলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এমন সরগরম আবহে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।