Indian cough syrup in Gambia: গাম্বিয়ায় ৭০ শিশুর মৃত্যুতে দায়ী নয়, কাফ সিরাপকে ক্লিনচিট ভারতের- রিপোর্ট – India govt gives clean chit to cough syrup alleged in Gambia children death, passes all testes

গাম্বিয়ায় ৭০ শিশু মৃত্যুর ঘটনায় যে কাফ সিরাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেই ওষুধকে ‘ক্লিনচিট’ দিল ভারত সরকার। সূত্র উদ্ধৃত করে এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনই জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হরিয়ানার সংস্থা মেডেন ফার্মার কাফ সিরাপের মান নিয়ে তদন্তের জন্য যে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, সেই টাস্ক ফোর্সের প্রধান ওয়াইকে গুপ্তা জানিয়েছেন, যাবতীয় পরীক্ষায় ‘পাশ’ করে গিয়েছে মেডেন ফার্মার কাফ সিরাপ। সেই পরিস্থিতিতে যদি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার সরকারের থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা হয় বা কোনও বার্তা দেওয়া হয়, তাহলে টাস্ক ফোর্সের হাতে যে রিপোর্ট এসেছে, সেটার ভিত্তিতে জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের প্রধান।

আরও পড়ুন: Indian woman in Pakistan: বিয়ে করব না! ‘প্রেমের টানে’ পাকিস্তানে যাওয়া ভারতীয় বধূকে নিয়ে বললেন নাসিরুল্লা

তবে আপাতত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, গাম্বিয়া সরকার এখনও মনে করে যে শিশুমৃত্যুর জন্য কাফ সিরাপ দায়ী। যে দেশের সরকারের গঠিত টাস্ক ফোর্সের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে গত বছর গাম্বিয়ায় ৭০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ‘প্রত্যক্ষভাবে’ মেডেন ফার্মার কাফ সিরাপের ভূমিকা আছে। সেই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার গাম্বিয়া সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে মেডেন ফার্মার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের জন্য কথাবার্তা চলছে। সেজন্য ভারত সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হতে পারে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাম্বিয়া সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে মেডেন ফার্মা এবং স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। কীভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে একটি মার্কিন আইনি উপদেষ্টা সংস্থাকেও নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাম্বিয়ার মন্ত্রী।  সেইসঙ্গে গাম্বিয়ার মেডিসিনস কন্ট্রোল এজেন্সির (এমসিএ) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ডেপুটি ডিরেক্টরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ সরকারের টাস্ক ফোর্সের তদন্তে উঠে এসেছে যে মেডিসিনস কন্ট্রোল এজেন্সিতে নথিভুক্ত ছিল না মেডেন ফার্মার কাফ সিরাপ। যা আইন মোতাবেক বাধ্যতামূলক।

নিজেদের টাস্ক ফোর্সের রিপোর্টের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মন্তব্যকেও হাতিয়ার করতে পারে গাম্বিয়া। কারণ গত বছর বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছিল, হরিয়ানার সংস্থার কাফ সিরাপে বিষাক্ত ডাইথিলিন গ্লাইকোল (DIG) এবং ইথিলিন গ্লাইকোলেরও (EG) আছে। যা সাধারণত গাড়ির ব্রেকের ফ্লুইড এবং অন্যান্য জিনিসপত্রে ব্যবহার করা হয়। যা মানুষের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়। সেই পরিস্থিতিতে গাম্বিয়া সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ‘দেশে যে যে ওষুধ এবং সেই সংক্রান্ত জিনিস আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলির উপযুক্ত পরীক্ষার জন্য অবিলম্বে ল্যাবরেটরি তৈরির প্রয়োজন আছে।’