Muharram 2023: মহরমের সঙ্গে জড়িয়ে শিশু ও নারীদের করুণ পরিণতিও, ফিরে দেখা ১৪০০ বছর পুরনো ইতিহাস

চলতি বছরের ২৯ জুলাই পালন করা হবে মহরম। এই দিনটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি শোকের দিন হিসেবে পালন করা হয়। ইসলাম ধর্মের মধ্যে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই দিনটিতে শোক পালন করে থাকেন। বিশেষ করে রোজাও রাখেন অনেকে। মহরমের দশম দিনটি হল ‘আশুরা’। তবে সবাই এই উৎসবের দিন রোজা রাখেন না।  চলতি বছরে ইংরেজি জুলাই মাসের ২৮ তারিখ এই দিনটি পালন করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর মাসের শেষের দিকে ২৮ তারিখ এই দিন। প্রসঙ্গত, এই দিনটির জন্য ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

(আরও পড়ুন: লাল লাল চেরির মধ্যে লুকিয়ে ‘দামি’ টমেটো! খুঁজে বার করতে পারলেই বিশেষ পুরস্কার)

দিনটির ইতিহাস ও তাৎপর্য

মহরম মাসের এই দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক দুঃখের কাহিনি। প্রায় ১৪০০ বছর আগে হজরত মহম্মদ ও তাঁর অনুগামীরা মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে রওনা হতে বাধ্য হন। এই দিন ছিল মহরমের প্রথম দিন। কিন্তু তাঁকে মক্কায় ইসলামের বার্তা প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। মহরমের দশম দিনটি আশুরা হিসেবে পালন করা হয়। এই দিন ইমাম হুসেনের মৃত্যু দিন হিসেবে পালন করা হয়। হোসেইন ইবনে আলি ছিলেন হজরত মহম্মদের পৌত্র ও হজরত আলির পুত্র। ৬৮০ খ্রিষ্টপূর্বে কারবালা যুদ্ধে তিনি ও তার পরিজনরা শাহাদত বরণ করেন। প্রসঙ্গত, ওই যুদ্ধ ছিল অসম যুদ্ধ। সেখানে ইবনে যিয়াদের চার বা পাঁচ হাজার সৈন্যের সঙ্গে হোসেইন ইবনে আলির সত্তর থেকে ১৫০ জনের যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে সমস্ত পুরুষ ও হোসেইনের শিশুপুত্র নিহত হন। বাকি শিশু ও নারীদের যুদ্ধে বন্দী করে ফেলা হয়। প্রসঙ্গত বলা হয়, প্রচলিত  ৭২ সংখ্যাটা এসেছে কর্তিত মস্তকের সংখ্যা থেকেই।

(আরও পড়ুন: বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে দশা হেঁশেলের ! ৪ উপায়ে ভালো রাখুন আপনার রান্নাঘর)

প্রসঙ্গত, এই দিন শোকের উৎসব পালনের দিন। শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমরা এই দিন তাজিয়া নিয়ে বেরোন। নিজেদের একটি শৃঙ্খল দিয়ে ক্রমাগত তারা ক্ষতবিক্ষত করতে থাকেন। একে ততবীর বা কামা জানি বলা হয়। অন্য দিকে সুন্নিরা এই দিন উপবাস করেন। শোকের অংশ হিসেবে ইয়া হুসেন বা ইয়া আলি উচ্চারণ করেন তাঁরা। শুধু ভারত বা বাংলাদেশ নয়, অনেক ইসলাম ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত দেশেই এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। মক্কা, মদিনা ও জেরুজালেমের পর কারবালাকেই মুসলিমরা ধর্মস্থান হিসেবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন।