Rice Crisis-America: ভারতের সিদ্ধান্তে বিদেশে চালের আকাল! কী খাচ্ছেন আমেরিকার বাঙালিরা?

আমেরিকায় চাল রপ্তানি সাময়িক ভাবে বন্ধ করল ভারত। দেশে এবার চাল উৎপাদন কম হয়েছে বলেই বিদেশে রপ্তানি বন্ধ করল ভারত সরকার। ফলে আমেরিকায় যে প্রবাসী বাঙালিরা থাকেন তাঁরা পড়েছেন আতান্তরে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন জনপ্রিয় ব্লগার মহুয়া ওরফে সকলেই যাঁকে প্রবাসে ঘরকন্না বলে চেনেন।

গতকাল প্রবাসে ঘরকন্না ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউবে একটি নতুন ভিডিয়ো পোস্ট করেন সকলের পছন্দের ‘মহুয়া দি।’ সেখানেই দেখা যায় তিনি তাঁর স্বামীকে বলছেন তাঁদের প্রবাসীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সবাই বলছেন যে সেদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ফলে তাঁদের এখনই বাজার যাওয়া উচিত।

সেই রাতেই তাঁরা স্থানীয় যে সুপারমার্কেট আছে সেখানে ছুটে যান চালের খোঁজে। গিয়ে দেখেন যা আশঙ্কা করেছিলেন সব থেকে বড় দোকানটিতেও চাল নেই। সকলেই ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছেন খালি ট্রলি নিয়ে। চালের হাহাকার সর্বত্র। যা রয়েছে সেটা সবই থাইল্যান্ডের চাল।

সেখানকার ইন্ডিয়া বাজারের সামনেও নাকি ক্রেতাদের লম্বা লাইন পড়েছে চালের আশায়। কিন্তু দোকানের তরফে কড়া ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে ৫ কেজির একটি বস্তার বেশি চাল তোলা যাবে না এখন যেহেতু চাহিদা এত বেশি। দেখুন শত হলেও, দেশ বদলালে কি খাবারের অভ্যাস বদলে যায়? বাঙালি হয়ে একবেলা ভাত খাবে না হয় নাকি! সেই কারণেই এই অবস্থা।

যদিও তিনি তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন এখনও একটি দোকানে খোলা এবং প্যাকেট করা চাল পাওয়া যাচ্ছে সামান্য পরিমাণে। তবে সেখানে আবার ক্রেডিট কার্ড চলে না। কেবল ডেবিট কার্ড বা ক্যাশ। তাই ক্যালিফোর্নিয়ার কোনও বাসিন্দা যদি এখনও চালের খোঁজ করে থাকেন তাহলে তিনি বা তাঁরা সেখানে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এও আশ্বাস দিয়েছেন যে আগামী ২-৩ মাস পর যখন নতুন চাল উঠবে তখন আবার চাল রপ্তানি শুরু হবে ভারতের তরফে। তখন আবার সেই দেশে চাল পাওয়া যাবে।