দুই শতাধিক ‘ভুয়া ভোটারের’ অভিযোগ

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নির্বাচনে দুই শতাধিক ভুয়া ভোটার রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ মোবাইল রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান। এসময় শিগগির এই ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।

বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের এক সহ-সভাপতি ও কয়েকজন পরিচালকের নেতৃত্বে এ অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।  

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে এরই মধ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সাধারণ ভোটারদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন পরিচালক ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ২০০ জনের অধিক ভুয়া ভোটার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা বাণিজ্য করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ ভোটাররা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে ডেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি এফবিসিসিআইয়ের আসন্ন নির্বাচনে একজন ভোটার এবং পরিচালক পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। এ কারণে ভুয়া ভোটারের বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে এই আবেদন করছি। এরই মধ্যে গত ২১ জুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে অনেক পুরাতন ভোটারকে জোর করে বাদ দেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। এর ফলে বিনা কারণে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ব্যক্তিরা সুবিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৪০টি অ্যাসোসিয়েশন থেকে ভোটারের নাম পাঠানো না হলেও এগুলো থেকে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে প্রতি সংগঠন থেকে ৫ জন করে ২০০ জন ভুয়া ভোটার করা হয়েছে। কোনও সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণের ক্ষেত্রে, কোনও ব্যক্তি তার ট্রেড লাইসেন্সে উল্লেখিত শ্রেণির ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনও শ্রেণির অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবে না। বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা- ১৯৯৪ এর ৫ ও ৬ ধারায় সদস্যপদ গ্রহণের বিধানাবলি এবং ট্রেড লাইসেন্স ও সংশ্লিষ্ট ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন সনদপত্রের হালনাগাদ কপি প্রতিবছর সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনে দাখিলের নির্দেশনা রয়েছে।’

এসব ভুয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ না দিলে শিগগির প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে বলে উল্লেখ করেন শফিকুর রহমান। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এর আগে আরও দুই বার আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম বদরুদ্দোজা, সহ সভাপতি মো. রাহিম উর রহমান।