Elon Musk rocket: রকেট ছুঁড়ে বায়ুমণ্ডল ফুটো করে দিলেন মাস্ক! বিপদের আশঙ্কা মার্কিন বিজ্ঞানীর

রকেট ওড়াতে গিয়ে বিপত্তি ঘটালেন টুইটার কর্তা ইলন মাস্ক।‌ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বড়সড় ফুটো করে দিল সেই রকেট। সম্প্রতি ইলনের ফ্যালকন ৯ রকেট পাড়ি দিয়েছে মহাকাশে। সেই রকেটের গতিবিধি দেখে এমনটাই মন্তব্য করলেন মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানী জেফ বুমগার্ডনার। 

(আরও পড়ুন: বিয়ের আগে সম্বন্ধের সময়েই ৫ প্রশ্ন করুন পাত্রীকে! নইলে কপালে চরম দুঃখ)

প্রসঙ্গত, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যা আদতে বাইরের জগতের যাবতীয় ঘাতপ্রতিঘাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল আসলে পৃথিবীর রক্ষাকবচ। এই বায়ুমণ্ডলের বেশ কয়েকটি স্তর রয়েছে।  বিজ্ঞানীদের কথায় এই স্তরগুলির সবচেয়ে নিচের স্তর হল ট্রোপোস্ফিয়ার। তার ওপর রয়েছে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের উপর রয়েছে মেসোস্ফিয়ার। তার উপরে থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ার। এর পর সব শেষে রয়েছে এক্সোস্ফিয়ার। এই আয়নোস্ফিয়ার শুরু হয় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার উপরে। বিস্তৃত থাকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত। নাসা এই স্তরকেই মহাকাশের সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সীমা বলে মনে করে।

(আরও পড়ুন: বাইরের খাবার খেতে ভয় পান! খিদে পেলে কী করেন সুধা মূর্তি? জানালেন নিজেই)

গত ১৯ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস স্টেশন থেকে ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স। মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানী জেফ বুমগার্ডনার এই উড়ানের পর্যালোচনা করেন। উড়ানের গতিবিধি রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

(আরও পড়ুন: সৌগত রায়, মদন মিত্রর গানের সঙ্গে শ্রীজাতর কবিতা, জমজমাট সন্ধ্যার আয়োজন খড়দহে)

জেফ বুমগার্ডনার উড়ানের ছবি দেখে দাবি করেছেন, এই রকেট আয়নোস্ফিয়ারে ফুটো করে দিয়েছে। কেন তিনি এই কথা মনে করছেন, তাও জানিয়েছেন। জেফের কথায়, রকেটটি যখন তার দ্বিতীয় স্তরের জ্বালানির ব্যবহার শুরু করেছে তখন সেটি মাটি থেকে ২০০ কিমি উচ্চতায় রয়েছে। ২০০ কিমি থেকে ৩০০ কিমি উপরে থাকাকালীন একটি লাল আলোর ঝলকানি দেখা যায় অ্যারিজোনার আকাশে। সেই আলোর ঝলকানিই নজর কাড়ে জেফের।

তাঁর কথায়, রকেট থেকে বেরিয়ে আসা উপাদান ও বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন আয়নের বিক্রিয়ায় এই ধরনের লাল আলো সৃষ্টি হয়। আয়নের সঙ্গে এই  বিক্রিয়ার ফলেই শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে আয়নোস্ফিয়ারে। জেফের দৃঢ় ধারণা এই সময়ই ফ্যালকন ৯ আয়নোস্ফিয়ারে একটি ফুটো করে দিয়েছে। যদিও এই ফুটো সাময়িক। তবে এই ফুটো জিপিএস ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। জিপিএস এই সময় সামান্য ভুল তথ্য দিতে পারে। প্রসঙ্গত আয়নোস্ফিয়ার আয়ন নামে তড়িতাহিত কণা দ্বারা পূর্ণ। সেই আয়নের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল শূন্যস্থান।