কাশ্মীরে, বাংলাদেশে শক্তি বাড়াতে চাইছে আল কায়দা, দোসর হয়েছে তালিবান: UN Report

রেজাউল এইচ লস্কর

আল কায়দাকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের। বলা হচ্ছে আফগান তালিবানদের সঙ্গে একেবারে নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলছে আল কায়দা। আসল লক্ষ্য হল জম্মু-কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মায়ানমারে কার্যকলাপ বৃ্দ্ধি করা। 

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অ্যানালিটিকাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্য়াংশান মনিটরিং টিম জানিয়েছে, আফগানিস্তানে আল কায়দার প্রায় ৪০০ জন যোদ্ধা রয়েছে। আর আল কায়দা এবার ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ২০০ জন যোদ্ধা রয়েছে। তারা ওসামা মেহমুদের নেতৃত্বে কাজ করে। 

এবার সেই AQIS গ্রুপকে সাজাতে চাইছে আল কায়দা। মূলত তিনটি জায়গাকে ওরা টার্গেট করতে চাইছে। প্রথমত, কাশ্মীর, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ আর তিন নম্বরে মায়ানমার।  এক ইউএন সদস্য রাষ্ট্র এনিয়ে মতামত দিয়েছেন।   ISIL-K-এর সঙ্গে যোগসূত্র রক্ষা করতে চাইছে একিউআইএস। 

এদিকে অপর এক সদস্য রাষ্ট্রের দাবি, তেহেরিক ই তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতে চাইছে একিউআইএস। টিটিপিকে ওরা ইতিমধ্য়েই গাইড করছে বলেও খবর। মূলত পাকিস্তানে যাতে হামলা বৃদ্ধি করা যায় সেজন্য় এই উদ্যোগ। 

প্রাক্তন আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই AQIS তৈরি করেছিল। তবে পাকিস্তানের আসিম উমর ছিল এর মূল হোতা। মনে করা হয় পাকিস্তানের ওসামা মেহেমুদ ছিল AQIS -এর প্রধান। সালটা ২০১৯। মার্কিন আফগান মিলিটারি অপারেশনে উমরের মৃত্যুর পরে হাল ধরেছিল ওসামা মেহেমুদ। 

তবে পাকিস্তানের বাইরে বড় কোনও হামলা ঘটাতে পারেনি AQIS।২০১৭ সালের জুন মাসে তারা একটি তথাকথিত আচরণবিধি তৈরি করে। সাল ২০১৭। সেই কোড অফ কন্ডাক্টে উল্লেখ করা ছিল আফগানিস্তানে, ভারত, পাকিস্তান. বাংলাদেশে মায়ানমারে তারা বড় হামলা চালাতে পারে। ২০২২ সালের জুন মাসে তারা ভারতে হামলা চালানো নিয়ে ইংরাজি ও হিন্দিতে বিবৃতি জারি করেছিল। 

এদিকে ইউএন রিপোর্ট অনুসারে আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। অন্তত ২০টা জঙ্গি সংগঠন কলকাঠি নাড়ছে ওই দেশে। মূলত জঙ্গি কার্যকলাপকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তারা নানা ছক কষছে। 

আর সেই আল কায়দার সঙ্গে আফগান তালিবান হাত মেলাচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, তালিবানের পদস্থ আধিকারিকদের পৃষ্ঠপোষকতায় আল কায়দা সদস্যরা আফগানিস্তানের নানা প্রশাসনিক ব্যবস্থাতেও নাক গলায়। মূলত আফগানিস্তানের মাটিকে তারা আদর্শ প্রচার ও নতুন যোদ্ধা নিয়োগের উর্বর ক্ষেত্র বলে মনে করে।