এখনই গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ, ধর্ষণ মামলায় রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল নওশাদের

ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল। আজ, শুক্রবার ধর্ষণ মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই তাঁর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় আদালত। তার জেরে আগামী একসপ্তাহের মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে। নওশাদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ায় স্বস্তিতে আইএসএফ বিধায়ক। তবে এরপর এই মামলা শুনবেন বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিকে নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বউবাজার থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ করেন এক যুবতী। কিন্তু সহবাসের পর বিয়ে করেননি নওশাদ বলে ওই যুবতীর অভিযোগ। যদিও ‘তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে’ বলে দাবি আইএসএফ বিধায়কের। তাই এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ। তাতে গত সপ্তাহে ভাঙড়ের বিধায়ককে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস। শর্ত হিসাবে জানানো হয়, মামলায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে এবং প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারী অফিসাররা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক তিনদিন আগে এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।

ঠিক কে, কী বলেছেন?‌ অন্যদিকে নিউটাউন থানায় ওই যুবতী এসেছিলেন ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিধাননগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। ওই যুবতীর অভিযোগ, ‘‌বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন নওশাদ। ভালবাসার নামে আমি প্রতারিত হয়েছি। সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করেন নওশাদ। বিচার চাইতেই থানায় এসেছি।’‌ তারপরে বউবাজার থানায় অভিযোগ জানান ওই যুবতী। আর সব্যসাচী দত্ত এই ঘটনা নিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘‌একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ লজ্জাজনক। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছেন নওশাদ সিদ্দিকী। পুলিশ সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌যাত্রী সাথী’‌ অ্যাপ পরিষেবায় এবার ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি যাত্রীদের, সস্তায় গন্তব্যস্থল

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর কথায়, ‘‌আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা ঠিক কতটা, তার প্রমাণ দিচ্ছে যিনি এই অভিযোগ করেছেন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করতে চেয়েছিল। ওই যুবতী তৃণমূলেরই সদস্যা। ৪২ দিন জেলে আটকে রাখার পরও রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠছে না। তাই এই ধরণের কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে।’‌ তবে আবার রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল।