এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে ডাক সুকান্ত–দিলীপকে, কী নিয়ে হিসাব কষা চলবে?‌

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই স্ট্র‌্যাটেজি না নিলে বিপদে পড়তে হতে পারে। কারণ বিরোধীরা মারাত্মক সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সুতরাং এই নির্বাচনে জেতা খুব সহজ হবে না। বরং বিরোধীরা সঠিক স্ট্র‌্যাটেজি নিয়ে এগোলে ভরাডুবির সম্ভাবনাও থাকছে। দেশের তামাম বিরোধীরা এখন একজোট হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমন একটা নাম নিয়ে এগিয়ে চলেছে তাতে স্নায়ুর চাপ বাড়ছে। তার মধ্যে ঘটে গিয়েছে মণিপুরের ঘটনা। এই প্রতিকূল আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এনডিএ সাংসদদের বৈঠকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিক বৈঠকের প্রথম দিনে যোগ দেওয়ার জন্য সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ–সহ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন সাংসদ আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

কবে থেকে বৈঠক শুরু?‌ এদিকে মোট ১১টি দলে এনডিএ’‌র ৪৩০ জন সাংসদকে ভাগ করেছে বিজেপি। পৃথক পৃথক দলে এঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ৩১ জুলাই থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত এই ধারাবাহিক বৈঠক চলবে। যাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ শিবিরে সমন্বয় গড়ে তোলা যায়। এই বৈঠকগুলিতে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পরিবহনমন্ত্রী নীতির গড়কড়ি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তবে এই বৈঠকের প্রথমে বঙ্গ–বিজেপির সাংসদদের ডাকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একুশের নির্বাচন থেকে তাদের হারের ধারা অব্যাহত। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ–বিজেপির সাংসদদের থেকে কিছু কথা জানতে চান শীর্ষ নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর।

কেন এই বৈঠক ডাকতে হল?‌ অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট সংসদের ভিতরে–বাইরে খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকটি রাজ্যে তাঁদের সাংসদরা ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ শুরু করেছেন। মণিপুরের বর্বরোচিত ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এখনও সংসদের ভিতরে মণিপুর নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে আরও পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এই আবহে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তাই এই ধারাবাহিক এনডিএ বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের, পাঠানো হল চিঠি

বাংলার সাংসদদের ডাক কেন?‌ প্রত্যেকটি রাজ্য থেকেই হিসেব নেওয়া হবে। যার জন্য প্রত্যেক রাজ্যের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এছাড়া শরিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত হিসেবে আসতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আসন সংখ্যা কত হবে?‌ এটাই এই ধারাবাহিক এনডিএ বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা। তাই আগেভাগে বাংলার সাংসদদের ডেকে বৈঠক মিটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হলেও আগের থেকে কিছু আসন বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। তার উপর অনেক বাংলার বিজেপি সাংসদ এবার টিকিট পাবেন না। কোন সংসদীয় এলাকার কেমন অবস্থা তা জেনে নেওয়া হবে বৈঠকে। বাংলায় এসে অমিত শাহ বলে গিয়েছিলেন, ৩৫টি আসনের কথা। সেখানে এই বৈঠকে সব বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। কতগুলি আসন বাংলা থেকে আসতে পারে তাও উঠবে বৈঠকে।