মুদিয়ালির পিএসসি ভবনে শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে বাধা, পুলিশের সঙ্গে বচসা তুঙ্গে

মুদিয়ালির পিএসসি ভবনে হঠাৎ হাজির হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, শুক্রবার বিকেলে পিএসসি (‌পাবলিক সার্ভিস কমিশন)‌ ভবনে এসে হাজির হন তিনি। আর সেখানে এসে সচিবের ঘরে যেতে চান বলে জানালে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তবে পিএসসি গেটেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিরাপত্তারক্ষীরা আটকে দেয়। তখন ক্ষুব্ধ হয়ে শুভেন্দু অধিকারী গাড়ি থেকে নেমে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে থাকেন। তাঁর মন্তব্যের আগাগোড়াই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ। যদিও তাতে তেমন কেউ কর্ণপাত করেননি।

এদিকে তাঁকে পিএসসি ভবনে ঢুকতে বাধা দিলে তিনি নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। চিৎকার করে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, ‘‌এখানেও দুর্নীতি হয়েছে। পিএসসি নিয়োগে চিরকূট ব্যবহার হয়েছে।’‌ এইসব কথা বলে সোচ্চার হলে সরগরম হয়ে ওঠে দক্ষিণ কলকাতা। তবে পিএসসি ভবনে ঢোকার সময় দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর তখনই পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। এখানে তিনি আসবেন তা আগাম ঠিক ছিল না বলেই খবর।

অন্যদিকে ২০১৫–১৮ সালে ডব্লুবিসিএস নিয়োগ প্রক্রিয়ার তথ্য পেতে আরটিআই জমা করতে মুদিয়ালির পিএসসি ভবনে যান রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু গেটেই তার গাড়ি আটকে দিলে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে তাঁর তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায়। আর সেই সময় সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌২০১৫–২০১৮ ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা দিয়েছিল কারা? সেই তথ্য চেয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরা বিডিও ছিলেন। বেশ কয়েকজনের নিয়োগে গন্ডগোল রয়েছে। পিএসসি’‌তেও চিরকুট আসে।’‌

আরও পড়ুন:‌ এখনই গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ, ধর্ষণ মামলায় রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল নওশাদের

আর কী বলেছেন শুভেন্দু?‌ এরপরই তিনি রেগে যান। আর বলেন, ‘‌গেট খুলুন’‌। এর সঙ্গে তিনি সোচ্চার হয়ে বলেন, ‘‌টাকা কি মমতা দেয়? আমি চোর না ডাকাত? যে পুলিশ ডেকে এনে আমাকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে? মমতা এদের অপব্যবহার করছে। আমাকে দেখে আটকাচ্ছে। একুশে জুলাই ভালো পারফরমেন্সের জন্য মমতা পুলিশ আইপিএস অফিসারদের মিষ্টি, কফি খাইয়েছে। প্যাকেটে করে ফিসফ্রাই গিয়েছে। এরা বেতনটা পায় কোথা থেকে? যে ভাল পারফরমেন্সের জন্য খাবার বিলি করছে।’‌