Flood victims in Bengal: দুই দশকে বন্যায় বাংলায় মৃত্যু কত, সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

গত ২১ বছরে বন্যায় অসম ও বাংলায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান পেশ করল কেন্দ্র সরকার। এই তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় ৪২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। একটি প্রশ্নের উত্তরে লোকসভার অধিবেশনে এমনই তথ্য পেশ করেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্বেশ্ব টুডু। এর পাশাপাশি বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি, সামগ্রিক প্রভাব ও সরকারের উদ্যোগ নিয়েও তথ্য পেশ করেন মন্ত্রী। 

আরও পড়ুন: বন্যায় বেহাল উত্তরবঙ্গ, খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের দল, জানালেন মমতা

লোকসভায় একটি প্রশ্নের জবাবে, জলশক্তির প্রতিমন্ত্রী বিশ্বেশ্ব টুডু জানান, এই দুটি রাজ্যে বন্যার কারণে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। তথ্য অনুসারে, দুই দশকের মধ্যে বন্যায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় গত ২১ বছরে ২৭২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমে অসমে মৃত্যু হয়েছে ১৫০০ জনের। ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবাংলা। তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বন্যার কারণে বাংলায় ৬৪ হাজার ৭২৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে, অসমে ১৬ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই তথ্য বন্যা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্র। 

সাধারণত, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবছর বিভিন্ন জেলায় বন্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রতিবছরই বন্যা দেখা দেয়। যারফলে জীবনহানির পাশাপাশি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এছাড়াও, নিম্ন দামোদরের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রতি বছর বন্যার সমস্যা অনেকদিন ধরেই রয়েছে। বিশেষত দামোদর নদ ও এটির  দুটি শাখা – মুন্ডেশ্বরী নদী এবং নিম্ন দামোদর উপ অববাহিকা (আমতা) চ্যানেল ১.৮৮৭ লক্ষ হেক্টর (১৮৮৭ বর্গ কিমি) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত অঞ্চল বন্যাপ্রবণ বলে চিহ্নিত।

অন্যদিকে, উত্তর-পূর্ব ভারতে অবস্থিত অসম বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অপরিচিত নয়। সেখানেও প্রায় প্রতি বছরই বন্যা হয়। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই বছরের বন্যার কারণে সেখানে জীবনহানি এবং যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। মার্চ মাসে শুরু হওয়া এবং জুলাই পর্যন্ত থাকা এই বন্যায় প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। এছাড়া, কৃষি জমির ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধুমাত্র অসমে প্রায় ১০ লক্ষ কৃষক পরিবার প্রতিকূলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।