Shantipur: সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বরচিত কবিতা পোস্ট করে তৃণমূলের হামলার মুখে যুবক

ভোটসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বরচিত কবিতা পোস্ট করে তৃণমূলের হামলার মুখে পড়লেন এক ব্যক্তি। ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরের। ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কল্লোল সরকার নামে ওই ব্যক্তি। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।

শান্তিপুরের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা কল্লোলবাবু। পেশায় ব্যবসায়ী কল্লোলবাবুর কাব্যচর্চার অভ্যাস রয়েছে। একাধিক কাব্যগ্রন্থ রয়েছে তাঁর। বেশ কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে কল্লোলবাবু জানান, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথে গিয়েও ভোট দিতে পারেননি তিনি। তখন তিনি ‘বিদ্রোহ’ নামে একটি কবিতা লেখেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর লাগাতার হিংসা দেখে গত ২৫ জুন কবিতাটি ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। এর জেরে গত ২৫ জুলাই স্টেশন থেকে টোটো করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর ওপর চড়াও হয় কয়েকজন তৃণমূলি দুষ্কৃতী। কল্লোলবাবুকে মারধর করে তারা। আহত অবস্থায় তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান টোটো চালকরাই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শান্তিপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।

কল্লোলবাবু বলেন, ‘আমার একটি পুরনো কবিতা গত ২৫ জুন ফেসবুকে পোস্ট করি। কিন্তু সেজন্য যে হামলার মুখে পড়তে হবে তা ভাবিনি। হামলাকারীরা আমাকে বলে খুব বড় বিপ্লবী হয়েছিস না কি? এদের মধ্যে ২ জন সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে আমি চিনতে পেরেছি।’ অভিযোগ পেলেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, গণতন্ত্র ও স্বাধীন মত প্রকাশের শত্রু হল তৃণমূল। তাদের স্বেচ্ছাচার, লুঠ ও নির্যাতনের বিরোধিতা করলেই রোষে পড়তে হবে। কবি – সাহিত্যিকের গায়ে হাত তোলা সমাজের জন্য উদ্বেগের। শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এরকম কাজ দল সমর্থন করে না।