World Hepatitis Day 2023: মায়ের থেকেই সংক্রমিত হতে পারে সন্তান, বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে সতর্ক বার্তা সকলকে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভারত হেপাটাইটিস বি এবং সি-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। আনুমানিক ৪০ মিলিয়ন ভারতীয় বর্তমানে এই রোগে সংক্রমিত বলে অনুমান হু-এর। বিভিন্ন কারণে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস। এর মধ্যে মা থেকে সন্তানের সংক্রমণের ঘটনাও দেখা যায়। যা অন্যতম ভয়ঙ্কর সংক্রমণ বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই ভাইরাসের জেরে বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হতে হয় একটি সদ্যজাতকে।

প্রসঙ্গত, হেপাটাইটিস একটি ভাইরাল সংক্রমণ। এটি লিভারে প্রদাহ ঘটিয়ে মেটাবলিজমের প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেয়। এই রোগের দুটি প্রচলিত ভ্যারিয়ান্ট বা রূপ হল হেপাটাইটিস বি এবং সি। এই দুটিই প্রসবের সময় একজন সংক্রমিত মা থেকে তার সন্তানের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণের এই পদ্ধতিটি উল্লম্ব সংক্রমণ বা পেরিন্যাটাল ট্রান্সমিশন নামে পরিচিত। প্রতি বছর ২৮ জুলাই, বিশ্ব ভাইরাল হেপাটাইটিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি ঐক্যবদ্ধ থিমের অধীনে একত্রিত হয়। 

ফোর্টিস হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট চিকিৎসক তুহিন মিত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘গর্ভবতী মহিলারা হেপাটাইটিস বি বা সি ভাইরাসের বাহক হলে সন্তানের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি ৯০ শতাংশ থাকে৷ সময়মত চিকিৎসা না করালে শিশুর দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি হতে পারে। এছাড়াও, পাঁচ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে শিশু হেপাটাইটিস সি সংক্রামিত হতে পারে। 

তাঁর কথায় সন্তানকে এই রোগ থেকে বাঁচানোর উপায়ও রয়েছে। গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস এড়াতে গর্ভধারণের আগে থেকেই কিছু চিকিৎসা করানো জরুরি। প্রজননক্ষম হলেই মহিলাদের হেপাটাইটিস বি এবং সি এর জন্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। পরীক্ষারফল ইতিবাচক হলেই শিশুর সংক্রমণের ঝুঁকি কম। অন্যদিকে পরীক্ষার ফল নেতিবাচক হলেও আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।’ 

প্রসঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে, ২০২৩ সালে ‘ওয়ান লাইফ ওয়ান লিভার’ ভাবনাটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই উপলক্ষে একটি শিশুর সুস্থ লিভারসহ একটি সুন্দর জীবনের  পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলেই জানান চিকিৎসক তুহিন মিত্র। তাঁর কথায়, মায়ের হেপাটাইটিস থাকলে সন্তানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। তাই প্রসবের পরেই সন্তানকে নিয়মিত দেখভাল করতে হবে। নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।  মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে মনে করিয়ে দেন চিকিৎসক।