Central Govt on Manipur Video in SC: এবার লাগল তাড়া, বিতর্কের মাঝে মণিপুর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে বড় আবেদন কেন্দ্রের

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই মণিপুরে নারী নির্যাতন এবং গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। এই আবহে এবার কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হল, ‘নারী সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনও বিষয়ে সরকার কোনও ধরনের অপরাধ সহ্য করবে না।’ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের কাছে সরকারের আবেদন, শীর্ষ আদালত যেন নির্দেশ দেয় যাতে চার্জশিট পেশের পর এই মামলার শুনানি ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। পাশাপাশি মামলার শুনানি অসমে করারও আর্জি জানানো হয়েছে। এদিকে সরকারের হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ​​কুমার ভাল্লার দায়ের করা হলফনামায় বলা হয়, ‘মণিপুরে যা ঘটেছে, সেই ধরনের অপরাধগুলিকে অত্যন্ত জঘন্য বলে মনে করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জেরে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই বিষয়টি দেখছে সরকার। এই ধরনের অপরাধের জেরে গোটা দেশের মহিলাদের ওপর প্রভাব পড়ে।’ এদিকে হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, মণিপুরের ডিজিপি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি সব থানাকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানিয়ে দেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে কাল বিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ দায়ের করতে হবে এবং পদক্ষেপ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রেহাই পাচ্ছে না মহিলা ও শিশুরাও। এরই মধ্যে সম্প্রতি মণিপুরে তিন মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই ঘটনার বিভীষিকাময় এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোটা দেশ তাতে স্তম্ভিত হয়েছিল। ঘটনার ৭৭ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

জানা যায়, ভাইরাল ভিডিয়োর ঘটনাটি ঘটে ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে কাংপোকপি জেলায়। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য আতঙ্কে বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশের হাত থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ৫৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। তারপর তিনজন নারীকে নগ্ন করিয়ে হাঁটানো হয়। ২১ বছর বয়সি এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিন মহিলা কোনওরকমে পালিয়ে যান। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই ঘটনাকে ‘দেশের লজ্জা’ বলে আখ্যা দেন। তবে মোদীর এই মন্তব্যে সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা। তারা সংসদে এই নিয়ে মোদীর বিবৃতি দাবি করেছেন।