নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনও ভূমিকা থাকবে না: মন্ত্রী

নির্বাচনের সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনও ভূমিকা থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রবিবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থার মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে দেশে এসেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষকরা জানতে চেয়েছেন, আমাদের প্রস্তুতিটা কী ধরনের রয়েছে। আমাদের পুলিশ, অন্যান্য বাহিনী এবং অন্যান্য সব সংস্থা এই নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত আছে কিনা। এখানে হয়তো সহিংসতা আসবে, হয়তো… এই যে অন্যান্য দল নির্বাচন বয়কট করছে, ক্রমাগত তারা নানান ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে… এমতবস্থায় আমরা নির্বাচনটা করতে পারবো কিনা, এ সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে তাদের বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি।’

নির্বাচনের সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনও ভূমিকা থাকবে না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, এসময় মুখ্য ভূমিকায় চলে যাবে নির্বাচন কমিশন। আমাদের যত নিরাপত্তা বাহিনী; সবগুলো নির্বাচনের সময় কমিশনের তত্ত্বাবধানেই থাকবে, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও থাকবে না। আমরা এতটুকু বলেছি, সেসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাউকে বদলিও করতে পারবে না, আবার কাউকে পদায়নও করতে পারবে না। সবকিছুই নির্বাচন কমিশনই নিয়ন্ত্রণ করবে।’

তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার বিষয়েও অবহিত করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে, কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেই কাজ শুরু হবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কমিশনের অধীনে গিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবে; এসব বিষয় জানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা জানতে চেয়েছিলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স আছে কিনা। আমরা জানিয়েছি, আমাদের পুলিশ ফোর্সের সঙ্গে সঙ্গে একটি অক্সিলিয়ারি ডিসিপ্লিনড একটি ফোর্স রয়েছে; যাদের বিগত দিনে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। যেখানে প্রায় ১০ লাখের মতো সদস্য রয়েছে। এই বাহিনীটি আমাদের প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি তারা, বিজিবি, কোস্টগার্ড সবাই প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে, ফ্রি-ফেয়ার এবং সহিংসতামুক্ত হয়, সে বিষয়ে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটাতো কনস্টিটিউশনে (সংবিধান) নেই, কাজেই এটা (আলোচনায়) আসার কোনও প্রশ্নই আসে না।’