ভাটপাড়ার পানীয় জলে ভেসে আসছে পোকা, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা এলাকায়

চারিদিকে এখন ডেঙ্গি হচ্ছে। তার জেরে বাড়ছে পাল্লা দিয়ে মৃত্যু। শহর থেকে গ্রামে সর্বত্র একই ছবি। এই আবহে ভাটপাড়া পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলে ছোট ছোট পোকা দেখা গিয়েছে। এই পানীয় জল নিয়ে এখন তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখন এই পানীয় জল কেউ পান করতে চাইছেন না। পানীয় জলে পোকা ভেসে আসার খবর এলাকাবাসী দিয়েছে পুরসভাকে। কেন হঠাৎ পানীয় জলে পোকা ভেসে আসছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

এদিকে অপরিষ্কার পানীয় জল থেকেই নানা অসুখ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানেন গ্রামের মানুষজন। তাই আতঙ্ক তীব্র হচ্ছে। একটু বড় দোকানগুলিতে পরিশ্রুত পানীয় জল কিনতে যাচ্ছেন মানুষজন। কিন্তু এত পরিমাণ জলের বোতল বিক্রি হচ্ছে তা আগে কখনও হয়নি বলে দোকানদারদের মত। বাড়ির বয়স্ক এবং বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় পড়েছে গৃহস্থরা। ভাটপাড়ার অনেক দোকানে এখন পরিশ্রুত পানীয় জলের বোতল শেষ হয়ে গিয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে গোটা এলাকায় একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে এই খবর পৌঁছেছে ভাটপাড়া পুরসভায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শংকরী দত্তের কাছে। তিনি খবর পেয়েই তড়িঘড়ি এলাকা পরিদর্শনে নেমে পড়েন। ইতিমধ্যেই পুরসভার সমস্ত অফিসারদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অযথা আতঙ্কিত হবেন না বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। জল পরীক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মহরমের দিন এমন ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকে জল ফোটাতে শুরু করেছেন। কেউ জল ফুটিয়ে আবার ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিচ্ছেন। সুতরাং একটা তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভাটপাড়ায়।

আরও পড়ুন:‌ স্নাতকে খালি প্রায় ৫৮ শতাংশ আসন, সময়সীমা শেষ হতে চললেও চিত্র উদ্বেগের

ঠিক কী বলছেন কাউন্সিলর?‌ স্থানীয় বাসিন্দারা পানীয় জলে পোকা ভেসে আসছে দেখে এলাকার কাউন্সিলরকে খবর দেন। এই বিষয়ে কাউন্সিলর শংকরী দত্ত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌আমি শুনেই এলাকায় ছুটে এসেছি। ভাটপাড়া পুরসভা দু’‌রকম পানীয় জল ব্যবহার করে। এক, ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়। দুই, বোরিং পদ্ধতিতে পরিশুদ্ধ করে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। যখন ওয়াটার ট্রিটমেন্টের জল বন্ধ হয়ে যায় তখন বোরিং পদ্ধতিতে চালু করা হয়। এখন কোথা থেকে পোকা আসছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’‌ আর এই পুরসভার জল পারিষদ অমিত গুপ্তা বলেন, ‘‌খবর পাওয়া মাত্রই আমি ছুটির দিনেও পুরকর্মীদের ওই এলাকায় পাঠিয়েছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আগামী দিনে কোন সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য তৎপর থাকতে নির্দেশ দিয়েছি।’‌