ওভাল: গতকালই হঠাৎ করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ৩১ জুলাই ২২ গজে শেষবার মাঠে নামবেন। আজ মাঠে নামলেন আবেগে ভাসলেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা গার্ড অফ অনার দিলেন তারকা ইংরেজ পেসারকে। ব্যাট করতে এসে নিজের কেরিয়ারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেন। ওভালের গ্যালারির প্রতিটি দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালেন। অ্যাশেজের মঞ্চ আরও এক তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ের সাক্ষী থাকল।
ম্যাচের চতুর্থ দিন ব্যাট হাতে নেমে মিচেল স্টার্কের বলে পেল্লাই ছক্কা হাঁকান ব্রড। তাঁর আগে অ্যান্ডারসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ড্রেসিংরুম থেকে নামার সময় গার্ড অফ অনার দিয়েছিলেন অজি ক্রিকেটারা। এর আগে তৃতীয় দিনের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৯ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। এদিন সকালে ব্রড ও অ্য়ান্ডারসনই ব্যাট হাতে নামে। ৩৯৫ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
তৃতীয় দিনের শেষেই নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করে ব্রড জানান, ‘কাল (রবিবার) বা সোমবার আমার শেষ ক্রিকেট ম্যাচ হতে চলেছে। এই সফরটা দুর্দান্ত ছিল। নটিংহ্যামশায়ার ও ইংল্যান্ডের হয়ে এতদিন ধরে প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার কাছে দারুণ গর্বের। আমি সবসময়ই শীর্ষে থেকে শেষটা করতে চেয়েছি। এই সিরিজটা আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা সিরিজ। দারুণ উপভোগ করেছি এই সিরিজটা।’
৩৭ বছর বয়সি ব্রড জানান তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই অবসরের কথা নিয়ে বিচার বিবেচনা করছিলেন। তবে শুক্রবার রাতেই তিনি অবসরের সিদ্ধান্তটা পাকাপাকিভাবে নিয়ে ফেলেন। ‘আমি বেশ কিছুদিন ধরে এই নিয়ে বিবেচনা করছিলাম। ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার বরাবরই আমার কাছে সব থেকে বড় ম্যাচ। অজিদের বিরুদ্ধে দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে যে লড়াইগুলি হয়েছে, সেগুলি আমি বরাবরই উপভোগ করেছি। অ্যাশেজ ক্রিকেট আমার কাছে বিশেষ অনুভূতির, ভালবাসার। তাই অ্যাশেজ সিরিজেই আমার কেরিয়ারের ইতি টানতে চেয়েছি বরাবর।’ বলেন ব্রড।
ইংল্যান্ডের তারকা বোলার ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। একমাত্র ইংল্যান্ড বোলার হিসাবে টেস্টে দুইটি হ্যাটট্রিক নিয়েছেন ব্রড। লাল বলেই নিজের সিংহভাগ ক্রিকেটটা খেললেও, ব্রড কিন্তু ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছেন। চলতি অ্যাশেজেও দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ব্রড। শীর্ষে থেকেই তাঁর শেষ করার ইচ্ছাটা তাই পূরণই হচ্ছে। তাঁর মতে তিনি এখনও ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন, তবে এই সময়টাই তাঁর অবসরের জন্য সেরা।