কোনও কাজ করতে হবে না। এমনকী কাজ কীভাবে করতে হয়, সেটা ভুলে গেলেও বিশেষ চাপ নেই এই ব্যক্তির। কারণ মাস গেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ না হোক, ছয় লাখ টাকা তো ঢুকবেই। আর সেটা আগামী ৫ বছর নয়, ২৫ বছরের জন্য এক্কেবারে পাকা। এমন পাকা বন্দোবস্ত কী করে হল, সেটা জানলে অবশ্য চমকে যাবেন। সম্প্রতি দুবাইয়ে কর্মরত এক ভারতীয়ের এই অর্থপ্রাপ্তির খবরই জায়গা করে নিয়েছে সংবাদের শিরোনামে। তার কারণ কোনও কাজ না করেই এই টাকা এমনি এমনি পাবেন তিনি। আসলে ব্যাপারটা আর কিছুই নয়, এক বিশাল অঙ্কের লটারি জিতেই এই কামাল হয়েছে।
(আরও পড়ুন: পাত্রীকে সম্পর্কের গোড়াতেই ৫ ব্যাপার খোলসা করে বলুন, নইলে সবাই আপনাকেই দুষবে)
দুবাইয়ে কর্মরত মহম্মদ আদিল খান উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। কাজের সূত্রেই দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। সেখানে অন্দরসজ্জার পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন মহম্মদ আদিল খান। সম্প্রতি একটি লটারি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। সেখানেই বড় সড় অঙ্কের লটারি জিতেছেন আদিল। খবর, দুবাইয়ের মুদ্রায় ২৫ হাজার দিরহাম মাসে মাসে দেওয়া হবে তাঁকে। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ছয় লাখ টাকা। আর এই টাকা তিনি টানা ২৫ বছর ধরে পাবেন। সম্প্রতি আয়োজিত ‘ফাস্ট ফাইভ’ লটারি প্রতিযোগিতায় এই বিশাল অঙ্কই জিতে নিয়েছেন খান। দুবাইয়ের একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার হয়ে কাজ করেন তিনি।
(আরও পড়ুন: মাত্র দু’টাকায় ত্বকের যত্ন! ঘরোয়া উপাদানেই ফেটে পড়বে আপনার জেল্লা)
এই দিন সংবাদ মাধ্যমকে খান বলেন, তাঁর বাড়িতে তিনিই একমাত্র আয় করেন। তাঁর ভাই কোভিডের সময়েই প্রাণ হারান। সেই থেকে আদিলই তাঁর পরিবারকে দেখভাল করছেন। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মায়ের সঙ্গে রয়েছে পাঁচ বছরের কন্যা। তাই এই অতিরিক্ত আয় একরকম অযাচিত সাহায্যের মতোই মনে করছেন তিনি।
খবরটি পাওয়ার পর প্রথমে বিশ্বাস করেননি মহম্মদ আদিল খান। পরে সংস্থার তরফে তাঁকে যোগাযোগ করে হাতে তুলে দেওয়া হয় চেক। একটি অনুষ্ঠান করা হয় এর পরে। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে রীতিমতো ঘোরের মধ্যে রয়েছেন তিনি। এমিরেটস ড্র নামে ওই লটারি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে টাইচেরোস নামের একটি সংস্থা। সেই সংস্থার অধিকর্তা এই দিন জানান, প্রতিযোগিতা শুরুর আট মাসের মধ্যেই ফাস্ট ফাইভের নাম ঘোষণা করলেন তাঁরা। তাঁর কথায়, এটাই লাখপতি হওয়ার সেরা উপায়। এমনটা অবশ্য মেনে নিচ্ছেন মহম্মদ আদিল খানও। এখন তিনি অন্য ঘোরে অবশ্য।