WB Dengue Update: উদ্বেগ বাড়ছে! চলতি সপ্তাহে ৬৭৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত, নিয়ন্ত্রণে প্রচারেই জোর

রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৫জন। শহরাঞ্চলের তুলনায় এবার ভাবাচ্ছে গ্রাম বাংলার ছবি। আক্রান্তের প্রায় ৬০ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের বলে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলার স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩৩জন। নদিয়ায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, রানাঘাটে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। দুর্গাপুরের পুরসভার পলাশডিহায় গত এক সপ্তাহে ৬১জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৮। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২২৭ জন। জেলার শহরাঞ্চলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৩১ জন।

(পড়তে পারেন। আবার কলকাতায় ডেঙ্গির জেরে মৃত্যু মহিলার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬, উদ্বিগ্ন মেয়র)

তুলামূলক ভাবে মালদহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম। এই মরসুমে মালদহে ৭২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কালিয়াচক-১ ব্লক, হবিবপুরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বাঁকুড়া পুরসভা সূত্রে খবর, এ বছর বাঁকুড়া শহরে ১৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহারে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪। অন্য দিকে দার্জিলিং-এ ডেঙ্গি প্রকোপ নেই বললেই চলে।

পরিসংখ্যানের দিক থেকে শহরের ছবিটা কিছুটা ভাল হলেও। উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ সরকারি তথ্য অনুযায়ী ১৯ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৪০জন। ওই সময়ের মধ্যে বিধাননগর পুরসভায় এই মশাবাহিত রোগ ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতর একাধিকবার বৈঠক করেছে। নবান্নের পক্ষ থেকেও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। নিয়ন্ত্রণে প্রচারের জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

ডেঙ্গি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা

রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ‘ডেঙ্গি হাকিম’ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার পাল্টা জবাব দিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন,’বিজেপি এমন চটকা রাজনীতি করে। ডেঙ্গি আগেও হয়েছে, পরেও হবে। কারণ আমরা যেখানে থাকি সেটা ডেঙ্গিপ্রবণ।’