Manipur Violence: মণিপুরকাণ্ডে নিন্দা প্রস্তাব বাংলার বিধানসভায়, ‘এবার যোগীজিকে একটা কথা বলব…’ পালটা দিলেন শুভেন্দু

মণিপুর হিংসা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হল রাজ্য বিধানসভায়। মণিপুর হিংসার প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ করেন। তবে তার মধ্যেই বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।

মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানান, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে যেতে পারেন কিন্তু মণিপুরে যেতে পারেন না। এটা লজ্জার। যদি তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারেন তবে আমাদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন নিন্দা প্রস্তাব পাঠ করে শোনান।

এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা অবৈধ। আইন শৃঙ্খলা সব সময় রাজ্যের ব্যাপার। এটা নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এটা নিয়ে অন্য রাজ্যের বিধানসভায় আলোচনা হতে পারে না। আমি সমস্ত রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীদের কাছে অনুরোধ করছি যোগী আদিত্যনাথকেও অনুরোধ করছি পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের ভোটে ও ২০২৩এর পঞ্চায়েত ভোটে মহিলার উপর যে নির্যাতন হয়েছিল তা নিয়ে আপনাদের রাজ্যের বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করুন। জানালেন শুভেন্দু।

একদিকে মণিপুর নিয়ে যখন সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল তখনই বাংলার ভোটের হিংসার কথা তুলে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

তবে সুপ্রিম কোর্টেও মণিপুর কাণ্ড প্রসঙ্গে বাংলার হিংসা, নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ উঠেছিল। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, অন্যান্য রাজ্যে কী হয়েছে, তা হাতিয়ার করে মণিপুরের বর্বরতা নিয়ে সাফাই গাওয়া যায় না। এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতে মণিপুরের বর্বরতা সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো বিরোধী-শাসিত রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে যে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে, তা তুলে ধরেন আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ। তখন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘এখানে এই হয়েছে, ওখানে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সাফাই গাইতে পারি না।’