Prohibited items in flight: ২৬ শতাংশ বিমান যাত্রীর হ্য়ান্ড ব্যাগ থেকে লাইটার পাওয়া যায়, তিতিবিরক্ত BCAS

নেহা এলএম ত্রিপাঠি

 ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটির ডিরেক্টর জেনারেল জুলফিকার হাসান জানিয়েছেন, প্রায় ২৫,০০০ আপত্তিকর সামগ্রী বিমান যাত্রীদের চেকড ইন ব্যাগে ও হ্যান্ড ব্যাগ থেকে মিলেছে। বিমানযাত্রীদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,  এয়ারপোর্টে যাত্রীদের জিনিসপত্র খতিয়ে দেখা হয় রোজ। যে জিনিসগুলি বিমানে নিয়ে যাওয়া উচিত নয় সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না এটা দেখা হয়। সেই মতো প্রায় ২৫,০০০ আইটেম পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এগুলি বিমানে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। 

তিনি জানিয়েছেন,আমরা মানুষদের শিক্ষা দিতে চাই। যাতে হাইজ্যাকের মতো ঘটনা না হয় সেটা দেখা হয়। 

বিসিএএস ডেটা অনুসারে এভিয়েশন সিকিউরিটি প্রায় আট লাখ ব্যাগে নজরদারি করে। পরীক্ষা করে দেখে। রোজ পাঁচ লাখ চেকড ইন ব্যাগেজ পরীক্ষা করে দেখে সুরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।  তার মধ্য়ে একাধিক আপত্তিকর সামগ্রী পাওয়া যায়। হ্য়ান্ড ব্য়াগেজের মধ্য়ে  লাইটার, কাঁচি, ছুরি সহ নানা ধরনের তরল পদার্থ বহনের নজির রয়েছে। 

হাসান জানিয়েছেন, হ্যান্ড ব্যাগেজের মধ্য়ে প্রায় ২৬ শতাংশ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে লাইটার পাওয়া যায়। চেকড ইন ব্যাগেজেও প্রায় একই সংখ্যক লাইটার মেলে। দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪৪ শতাংশ যাত্রী তাঁদের চেকড ইন লাগেজে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে যান। আর যে আপত্তিকর সামগ্রী রয়েছে তার মধ্যে হল ল্যাপটপ, খোলা ব্যাটারি সহ নানা সামগ্রী। 

তিনি জানিয়েছেন, দিনের পর দিন ধরে এই ভুলটা করে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এবার এই ধরনের নিষিদ্ধ জিনিস বহন না করা উচিত। 

৩১ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট। এভিয়েশন সিকিউরিটি কালটাল উইক পালিত হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা জানিয়েছেন। হাসান জানিয়েছেন, এই ধরনের সামগ্রী যদি যাত্রীরা বহন করে নিয়ে যান তবে সেগুলি পরীক্ষা করতে সুরক্ষা কর্মীদের অন্তত তিন মিনিট করে অতিরিক্ত সময় লাগে। এটা ভাবা দরকার। যাত্রীরা যদি নিষিদ্ধ বস্তুর ১২৫০টির তালিকা জানেন তাহলে এই ভোগান্তি হয় না। আমাদেরও ১২৫০ ঘণ্টা বেঁচে যায়। তখন আমরা অন্যান্য সুরক্ষার কাজ করতে পারি।

তবে বিসিএএসর পরামর্শ এয়ারপোর্টে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন না দিয়ে যে নিষিদ্ধ বস্তুগুলি বহন করা যায় না তার তালিকা দেখান যাত্রীদের। এতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে। কারণ এটা আমরা সরাসরি যাত্রীদের বলতে পারছি না। কিন্তু যাত্রীদের সচেতন করাটা খুব দরকার।