RPF constable kills 4 in Train: চলন্ত ট্রেনে গুলি RPF কনস্টেবলের, মৃত্যু এক পুলিশকর্মীর, প্রাণ গেল তিন যাত্রীরও

চলন্ত ট্রেনের ভিতর চলল গুলি। ঝরল রক্ত। মৃত্যু হল অন্তত ৪ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ভোরে। মুম্বইগামী জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভিতরে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীরই এক জওয়ান গুলি চালান বলে অভিযোগ। ঘটনায় চারজন মারা যান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অভিযুক্ত আরপিএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই জওয়ানকে বোরিভালি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি যখন মহারাষ্ট্রের পালঘরের কাছে ছিল, তখন গুলি চালায় অভিযুক্ত জওয়ান। এর জেরে ১ এএসআই ও একাধিক যাত্রী গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে পুলিশকর্মী সহ চারজনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল তার নিজের বন্দুক থেকেই গুলি চালায়। 

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ১২৯৫৭৬ নং জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বি৫ কামরায় ঘটনাটি ঘটেছে আজ ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে। ঘটনা প্রসঙ্গে অবগত এক কর্তা সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘এসকর্ট ডিউটিতে থাকা সিটি চেতন নামক একজন এসকর্ট ইনচার্জ এএসআইকে গুলি করেছে। বোরিভালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই জওয়ানকে। গ্রেফতার করা হয়ছে তাকে। জানা গিয়েছে, এএসআই ছাড়াও তিনজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে এই ঘটনায়। ডিসিপি উত্তর জিআরপিকে ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।’

জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশকর্মীর নাম টিকা রাম মীনা। নিজের সিনিয়রকে বি৫ কামরায় গুলি করে হত্যা করার পর অভিযুক্ত চেতন অন্য কামরায় যায়। সেখানে তিন যাত্রীকে গুলি করে খুন করে সে। তাঁদেরকে গুলি চালানোর পর দহিসার স্টেশনের কাছে ট্রেনটি চেন টেনে থামায় সেই আরপিএফ কনস্টেবল। এরপর ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয়। রেল পুলিশ ও অন্য আধিকারিকদের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত কনসেটবলকে ধরে ফেলে। এদিকে কী কারণে চেতন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীকে জেরা করা হচ্ছে। আজই তাকে আদালতেও তোলা হতে পারে। 

ঘটনা প্রসঙ্গ পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ট্রেন নম্বর ১২৯৫৬ জয়পুর-মুম্বই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের এসকর্টিং স্টাফ কনস্টেবল চেতন কুমার তার সহকর্মী এসকর্ট ইনচার্জ এএসআই টিকা রামকে গুলি করে মেরেছেন। এরপর সেই কনস্টেবল তিনজন যাত্রীকে বন্দুক দেখিয়ে আটকে রেখেছিলেন। পরে তাদেরও গুলি করে খুন করে সে। এএসআই টিকা রাম এবং তিনজন যাত্রীর মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। কনস্টেবল চেতন কুমার দহিসারের কাছে নেমে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অস্ত্র সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।’