বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে পানীয় জলের সমস্যা মেটাবে কলকাতা লাগোয়া পুরসভা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর–সোনারপুর পুরসভায় পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। গ্রীষ্মকাল আসলেই সেই সমস্যা বহুগুণে বেড়ে যায়। কারণ জলস্তর মাটির অনেকটাই নিচে নেমে যায়। যারফলে পানীয় জল পেতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। সেই সমস্যার সমাধানে অভিনব উদ্যোগ নিল পুরসভা। বৃষ্টির জল ধরে রাখা জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভা। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা পাঠানো হবে ভূগর্ভে।

আরও পড়ুন: চলতি বছরেই ভূগর্ভের মিষ্টি জল পাবে রাজারহাটের ৫ ওয়ার্ড, দাবি পুরনিগমের

মূলত সোনারপুর জুড়ে যেভাবে জলস্তর নেমে গিয়ে পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছে তা কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে এই প্রথম এই পদক্ষেপ নিল কোনও পুরসভা। বৄষ্টির জল ধরে রেখে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেই জল পাম্প করে পাঠানো হবে ভুগর্ভে। পরীক্ষামুলকভাবে সেইকাজ শুরু হয়েছে। এরজন্য রাজপুর সোনারপুর পুরসভার মহাময়াতলার জয়হিন্দ অডিটোরিয়ামকে ব্যবহার করা হবে। বৄষ্টির সময় অডিটোরিয়ামের ছাদে যে জল পড়ে সেই জল সংরক্ষণ করা হবে। তারপর সেই জল পাঠানো হবে ভূগর্ভে। যাতে আগামী দিনে পানীয় জলের সমস্যা না হয় তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান জানান, এরফলে কিছুটা হলেও জলস্তর নেমে যাওয়া আটকানো সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে জয়হিন্দ অডিটোরিয়ামে এই কাজ শুরু হলেও ধীরে ধীরে পুরসভার অন্যান্য যে সমস্ত অফিস আছে সেখানেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এলাকায় যে সমস্ত বড়বড় আবাসন আছে তাদের কাছে এই পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আবেদন জানানো হচ্ছে বলে তিনি জানান। পুরসভার জল বিভাগের পুর পারিষদ নজরুল আলি মণ্ডল জানিয়েছেন, মানুষকে সচেতন করতেও তাদের এই উদ্যোগ।

সোমবার পুরসভার তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। পুরসভার এই পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস জানান, জল সংরক্ষণের জন্য এই অডিটোরিয়ামের কাছে ১০০০০ লিটার রিজার্ভ ঘর করা হবে। সেখান থেকে ভুগর্ভস্ত জল পাইপের মাধ্যমে পাঠানো হবে। আগামী দিনে যাতে পানীয় জলের সমস্যা না হয় এবং মানুষকে ঠিকমতো পানীয় জল সরবরাহ করা যায় তার জন্য এই প্রকল্প আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এখন থেকে জল সংরক্ষণ না করি তাহলে আগামী দিনে জলের সংকট তীব্র হবে।’