Myanmar: ভোট স্থগিত করা হল, কথা রাখতে পারল না মায়ানমারের সামরিক জুনটা শাসক: Report

মায়ানমারের জুনটা শাসক সরকারিভাবে আপাতত নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিল। অগস্ট মাসে তাদের ভোট হওয়া কথা ছিল। কিন্তু সেই ভোট প্রক্রিয়াকে স্থগিত করা হয়েছে। খবর রয়টার্স সূত্রে। জুনটা নেতা জেনারেল মিন আউং হ্লায়িং সোমবার সেনা পরিচালিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সিকিউরিটি কাউন্সিলের সঙ্গে মিটিং করেছিলেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আরও ছয় মাস জরুরী অবস্থা চালানো হবে।

এদিকে এর আগে সামরিক অভুত্থান হয়েছিল মায়ানমারে। তখন নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত নির্বাচিত সরকারে প্রধান সান সু কিকে কার্যত ছুঁড়ে ফেলেন সামরিক শাসক। তবে সেই সময় তারা জানিয়েছিলেন, অগস্ট মাসে ভোট হবে। তবে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারল না তারা। তাদের দাবি, এত হিংসার মধ্যে ভোট করা যাবে না। আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছো ভোট প্রক্রিয়া।

স্টেট টিভিতে জুনটার তরফ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভোট করতে গেলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে হয়। ভয়হীন ভোট করাটা দরকার। প্রয়োজনীয় সুরক্ষারও প্রয়োজন।সেকারণেই স্টেট অফ এমার্জেন্সিকে আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সেই সেনা অভুত্থানের সময় থেকেই গোটা মায়ানমার জুড়ে খালি অস্থিরতা। একেবারে রক্তবন্যা বয়েছে মায়ানমারে। সেই হিংসার সমাপ্তি ঘটেনি এখনও। এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সু কির দল ভোটে জিতে যায়। কিন্তু সামরিক বাহিনী দাবি করে প্রতারণা, দুর্নীতি হয়েছে। তারপরই জোর করে সামরিক শাসক বলবৎ করা হয়। তবে নির্বাচনী পরিচালকরা অবশ্য় কোনও দুর্নীতি খুঁজে পাননি।

এদিকে ফের এই জরুরী অবস্থার সম্প্রাসারণকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই স্টেট অফ এমার্জেন্সি আবার দেশটাকে হিংসা ও অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেবে। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, মারাত্মক নৃশংসতা চলেছে। আবার সেই সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হবে। আবার যাতে মায়ানমারে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসে সেব্যাপারে সওয়াল করেছে আমেরিকা।