চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার আবহে বাসমতির চাহিদাও তুঙ্গে

ভারতের চাল রফতানিকারকরা ক্রেতাদের কাছ থেকে বাসমতি চালের অগ্রিম চালানের জন্য অনুরোধ পাচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরে। বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারী দেশ ভারত জুলাই মাসের শুরুর দিকে বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। খুচরো বাজারে চালের দাম এক মাসের মধ্যে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ভারী বর্ষার কারণে ফলনের ক্ষতি হওয়ায় সরকার রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

ভারতের প্রথম সারির বাসমতি চাল রফতানিকারক সংস্থা জিআরএম ওভারসিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অতুল গর্গ বলেছেন, ‘ক্রেতারা দ্রুত চাল রফতানির জন্য অনুরোধ করছে, কারণ তারা আশঙ্কা করছেন যে সরকার বাসমতি চালের রফতানিতেও বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন,ক্রেতারা সাধারণত প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে রফতানির নিশ্চয়তা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তবে কিছু ক্রেতা এখনই নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল অগস্টে পাঠানোর অনুরোধ করছে, যা সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে পাঠানোর কথা ছিল।

(আরও পড়ুন: Basmati Rice Standards: বাসমতি চালে কৃত্রিম রং ও সুগন্ধ বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র) 

ভারত অতীতে কখনও বাসমতি চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। কিন্তু, ২০০৮ সালে রফতানি কর আরোপ করেছিল। ২০২২-২০২৩ সালে প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন বাসমতি চাল রফতানি করেছে ভারত। ভারতীয় বাসমতি চাল ক্রেতাদের মধ্যে শীর্ষ রয়েছে সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইয়েমেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বাসমতি চাল প্রধানত ভারতের উত্তরের রাজ্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশে উৎপাদিত হয়। তবে এই বছরের শুরুতে বেশ কিছু এলাকা অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়। একজন রফতানিকারী বিজয় সেটিয়া বলেছেন, ২০২৩ সালে বাসমতি ধান চাষের এলাকা বেড়েছে এবং উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন উত্তরপ্রদেশের অনেক কৃষক বেশি দামের কারণে অন্যান্য চালের চাষ ছেড়ে বাসমতি চাষের দিকে সরছেন।

(আরও পড়ুন: বাসমতি চালের GI ট্যাগ পেয়ে গেল পাকিস্তান)

দিল্লির একজন চাল রফতানিকারক জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক কালে সরকার চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় কিছু ক্রেতা আতঙ্কিত হয়ে আছেন। আমরা ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে বাসমতি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কোনও সম্ভাবনা নেই।’