Donald Trump Indictment: ২০’র মার্কিন নির্বাচনের ফল বদলের চেষ্টা, তার জন্য ৪ মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্প

২০২০ সালের নির্বাচনে হার মেনে নিতে পারেননি। নিজের সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে তাই উস্কানি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফল বদলেরও চেষ্টা করেছিলেন। এই আবহে ৪টি মামলায় অভিযুক্ তহলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারার পর ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা থেকে কংগ্রেসে হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তবে এরই মাঝে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। তবে পরপর আইনি জটিলতায় তাঁর সেই স্বপ্ন ভাঙতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে ৪টি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁর যাত্রাপথ আরও কঠিন হয়ে গেল।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার চক্রান্ত করেছেন তিনি। নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এরপর নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করেছেন তিনি। আর সব শেষে নিজের অধিকারের অপব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করেছেন। এই আবহে ট্রাম্পকে বৃহস্পতিবারই ফেডেরাল আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ৪৫ পাতার অভিযোগপত্র জমা পড়েছে আদালতে। তাতে ট্রাম্প ছাড়াও ছয়জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি (চার আইনজীবী, একজন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং একজন রাজনৈতিক উপদেষ্টা) ষড়যন্ত্রকারীর তালিকায় রয়েছেন। অভিযোগ, জয়ের সার্টিফিকেট যাতে বাইডেনের হাতে না ওঠে, তার জন্য তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা সেনেট চেয়ারম্যান মাইক পেন্সকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। 

উল্লেখ্য, সব মিলিয়ে ৪০টি অপরাধমূলক মামলা দায়ের হয়েছে বপ্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এর আগে ঘুষকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এবার মার্কিন সরকারের গোপন নথি চুরির মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ট্রাম্পকে। উল্লেখ্য, নির্বাচনে হেরে পদ ছাড়লেও নিজের সঙ্গে প্রশাসন সংক্রান্ত গোপন নথি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এই আবহে বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনে এফবিআই হানা দিয়েছিল। এই আবহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ’য়ে শ’য়ে গোপন নথি রাখার অভিযোগ সামনে আসে। আর এর প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাতটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর তাই মায়ামির ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য একটি সমন পান ট্রাম্প।