আমি বেঁচে আছি স্যার! সরকারি খাতায় মৃত, পেনশনও বন্ধ, নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ঘুরছেন বৃদ্ধ, তারপর…

কাগজপত্রে তিনি মৃত। কিন্তু বাস্তবে তিনি জীবিত। কিন্তু নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার জন্য তিনি একেবারে উঠেপড়ে লেগেছেন। ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের এই কাণ্ড শুনলে অবাক হবেন আপনিও। আসলে কষ্ট লাগবে তাঁর এই অবস্থার কথা শুনলে।

ওই ব্যক্তির নাম হুজো হাজম। তিনি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার বাসিন্দা। তাঁর এখন একটাই কাজ নিজেকে জীবিত প্রমাণ করা। তবে বলে রাখা ভালো তাঁর স্ত্রী অবশ্য় আড়াই বছর আগেই মারা গিয়েছেন।

এদিকে পেনশন সংক্রান্ত কাগজে হুরো হাজমকেও মৃত বলে ঘোষণা করে দেয় সরকারি দফতর। আর সেটা নিয়েই এত গোল বেঁধেছে। যেহেতু সরকারি খাতায় তিনি মৃত সেকারণে তাঁর পেনশনও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে সরকার। এমনকী তাঁর বাড়িতে এসেও তদন্তে নামে সরকার।

খোদ বিডিও এসে হাজির হন ওই বৃদ্ধের বাড়িতে। কিন্তু তিনি এনিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। কেন এমন জলজ্ব্যান্ত মানুষকে মৃত বলে ঘোষণা করা হল তার কোনও ব্যাখা তিনি দিতে পারেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সেক্রেটারিকে এনিয়ে আগেই শোকজ করা হয়েছিল।

বিডিও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতি ৬ মাস অন্তর দফতরের নির্দেশে পঞ্চায়েত সেক্রেটারি পেনশন গ্রাহকরা বেঁচে আছেন কিনা সেটা সশরীরে খতিয়ে দেখেন। কিন্তু সেখানেই ভুল হয়ে গিয়েছে। মৃত ব্যক্তির তালিকায় জীবিত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। আর সেই তালিকা দেখে পেনশনের পোর্টাল দেখে তাঁর নামটাও বাতিল করা হয়েছে।

তবে এদিন বিডিও ওই বয়স্ক ব্য়ক্তির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। দ্রুত তাঁর নাম যাতে পেনশনের পোর্টালে ওঠে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

কিন্তু কীভাবে এত বড় ভুল হয়ে গেল?

সূত্রের খবর, আসলে পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি তিনি এই ভুলটা করে ফেলেছেন। তার খেসারত দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি। তবে এখন ওই ব্যক্তির নাম যাতে পেনশন পোর্টালে ওঠে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিন বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁকে তাঁরা আশ্বস্ত করেন।