Deepinder Goyal: খাবারের লোভ কীভাবে সামলান জোম্যাটো কর্তা? ১৫ কেজি ঝরিয়ে ফাঁস করলেন রহস্য

অনলাইনে খাবার ডেলিভারি হয় তাঁর অ্যাপের মাধ্যমে। সারা ভারতেই বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় সেই অ্যাপ। অথচ তাঁর মালিক হয়েও দিব্যি খাবার খাওয়ার লোভ সামলে রাখেন তিনি। কীভাবে এই ‘কঠিন’ কাজ সম্ভব হয়? সম্প্রতি সেই রহস্যই ফাঁস করলেন তিনি। সংস্থার কর্তা তথা সিইও দীপিন্দর গোয়েল সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন তার পনেরো কেজি ওজন ঝরানোর কথা। আর সেই ওজন তিনি কমিয়েছেন বিশেষ উপায়ে। খাবারের প্রতি লোভ সামলেই তা নাকি সম্ভব হয়েছে।

(আরও পড়ুন: চিতাবাঘের হামলা কমাতে তাদের সংখ্যা কমানোর ভাবনা! কীভাবে সম্ভব? জানালেন বনমন্ত্রী)

প্রসঙ্গত, গোয়েলের শুধু যে ওজন বেশি ছিল তা নয়, তার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও অনেকটাই ছিল অস্বাভাবিক। সেই কোলেস্টেরলের মাত্রাও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করে এনেছেন তিনি। এই দিন ইনস্টাগ্রামে কোভিডের আগে তার কেমন অবস্থা ছিল সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। একটি ছোট্ট কাগজে ২০১৯ সালে তাঁর ওজন, কোলেস্টেরলসহ শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ কত ছিল তা জানিয়েছেন। অন্যদিকে বর্তমানে সেগুলির পরিমাপ কততে দাঁড়িয়ে আছে, সেটাও লিখে দেন। ছবিতে দেখা যায়, চার বছর আগে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ছিল ১৬৫। যা বর্তমানে কমে ৫৫ হয়েছে। অন্যদিকে দীপিন্দরের ওজন ছিল ৮৭ কেজি, বর্তমানে যা ৭২ কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ ২৮ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশের কোঠায়।

(আরও পড়ুন: চুল পড়া আদৌ খারাপ না ভালো? বেশিরভাগ মানুষের ভুল ধারণা আলোচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক)

দীপিন্দরের ওজন ছিল ৮৭ কেজি, বর্তমানে যা ৭২ কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে

(instagram)

কী সেই রহস্য? গোয়েল বলেন, তিনি খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণের দিকে নজর রাখতেন। আর খাবার খাওয়ার জন্য সবসময় জোম্যাটোতেই অর্ডার দিতেন। কারণ ভারতীয় খাবারেই কার্বোহাইড্রেট সবচেয়ে বেশি থাকে। রোজ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেটের বেশি খাবার খেতেন না। তবে সপ্তাহে একদিন বা দুই দিন নিয়ম ভাঙার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ওই এক দিন বা দুই দিন কোনও নিয়ম না মেনেই ছোলে বাটুরেসহ নানা মশলাদার খাবার খেতেন দীপিন্দর।

তাঁর কথায়, শরীরের পাশাপাশি মনের স্বাস্থ্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, চলাফেরার সময় মানুষের আবেগ বেশি নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভালো করে ভাবতে পারা যায়। এমনকী কাজ করার জন্য বেশি শক্তিও পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত চলাফেরা অর্থাৎ হাঁটাহাঁটি, ব্যায়ামের মতো কাজও করার পরামর্শ দেন তিনি।