Delhi ordinance Bill: ‘বাংলোর ঘটনা লুকোতে…’, লোকসভায় দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল পাশের আগে শাহি খোঁচা কেজরিকে

ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাশ হল দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল। বিরোধীদের ওয়াক আউট থেকে শুরু করে আম আদমি পার্টির সুশীল কুমার রিঙ্কুর সাসপেন্ড হওয়া ঘিরে একাধিক পর্ব এই বিলের আলোচনার মধ্যে দেখা যায়। এরই মাঝে বিল নিয়ে ডিবেট-এর সময় তাঁর বক্তব্যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আম আদমি পার্টি সমেত বিরোধীদের দিকে নিশানা তাক করেন।

বৃহস্পতিবার লোকসভায় দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল নিয়ে আলোচনার সময় অমিত শাহ বলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাংলোর সংস্কারের কাজ লুকোতে চাইছেন, বলেই আম আদমি পার্টি এই বিলের বিরোধিতা করছে। অমিত শাহ কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘২০১৫ সালে একটি দল ক্ষমতায় এসেছিল, যাঁদের উদ্দেশ্য ছিল লড়াই করা, সেবা করা নয়।’ এরপর অমিত শাহ বলেন, ‘ ট্রান্সফার পোস্টিং করানোর অধিকার না পাওয়াটা সমস্যা নয় , বরং বাংলো নির্মাণের সময়ের দুর্নীতি লুকোতে ভিজিলেন্স ডিপার্টমেন্টের ওপর নিয়ন্ত্র’ বড় সমস্যা বলে উল্লেখ করেন শাহ। তিনি বলেন, কেজরিওয়ালের আমলে দিল্লির আমলা নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা গিয়েছে। এদিকে, দিল্লির আই প্রণয়ণের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। সেই জায়গা থেকেই এই বিল পেশ বলে জানিয়েছেন তিনি। 

কেজরিওয়ালকে টার্গেট করে অমিত শাহ বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন,’বিরোধীদের বলতে চাই যে, শুধু মাত্র জোটে রয়েছেন বলে এই কোটি টাকা ব্যায়ের (বাংলো সংস্কার)কে সমর্থন করবেন না। কারণ আপনাদের জোট থাকলেও নরেন্দ্র মোদী জিতবেন।’  উল্লেখ্য, দিল্লির রাজনীতি তোলপাড় করে আম আদমি পার্টি বনাম বিজেপির সংঘাত জোরদার হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাংলো সংস্কারের কাজ ঘিরে। বিজেপির অভিযোগ ছিল, দিল্লি যখন কোভিড ১৯ এর প্রবল দংশনে কাবু হয়েছে, তখন কেজরিওয়াল নিজের বাংলোর ‘সৌন্দর্যায়ন’ করছিলেন। এদিকে, দিল্লি সরকারের ভিজিলেন্স ডিরেক্টোরেট দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নরকে দেওয়া তথ্য়ে জানিয়েছে, কেজরিওয়ালের অফিশিয়াল বাসভবন সংস্কারে ৫২.৭১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তারমধ্যে ৩৩.৪৯ কোটি টাকা বাড়ি তৈরিতে খরচ হয়েছে, আর ১৯.২২ কোটি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাম্প অফিস তৈরিতে খরচ হয়েছে। 

এদিন লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল। নয়া ‘গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লি বিল ২০২৩’ বিল কার্যকরির বিষয়ে বার্তা জোরালো করেছে কেন্দ্র। এই নয়া বিলে, দিল্লি সরকারের অধীনে অফিসারদের পোস্টিং সংক্রান্ত অধিকার নিয়ে রয়েছে বিধি। বিরোধীদের ওয়াক আউটের মধ্যে এদিন এই বিল লোকসভায় পাশ হয়।