Nandigram rail line: মমতা বলে গিয়েছিলেন ১৪ বছর আগে, অবশেষে রেলপথ তৈরি হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

নন্দীগ্রামে রেলপথ তৈরির প্রস্তাব দীর্ঘদিন আগেকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় নন্দীগ্রামে রেলপথ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেইমতো কিছুটা কাজও এগিয়েছিল। কিন্তু, সেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। অবশেষে ১৪ বছর পর নন্দীগ্রাম রেলপথ তৈরির কাজ ফের শুরু হতে চলেছে। বুধবার রেলের আধিকারিকরা নন্দীগ্রামে রেলের জমি পরিদর্শন করেন। তারপরেই নন্দীগ্রাম দ্রুতই রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: ভবাদিঘির জট কাটিয়ে ৭ বছর পর তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ শুরু হওয়ার পথে

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই নন্দীগ্রামে রেলপথ তৈরি করা হবে। ২০০৯ সাল থেকে আটকে থাকা এই প্রকল্প এবার সম্পন্ন করতে চলেছে রেল। এ মাসেই কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্রা।  উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে নন্দীগ্রামে রেলপথ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে আধিকারিকরা পরিদর্শনের পরে সেই কাজ শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন রেলপথের জায়গা পরিদর্শনে ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্রা এবং রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা। জেনারেল ম্যানেজার সেখানে দ্রুত রেলপথ চালুর আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাসের পরেই আশায় বুক বেঁধেছেন নন্দীগ্রামের বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, দেশপ্রাণ স্টেশন থেকে নন্দীগ্রামের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। তার মধ্যে এই প্রকল্পে নন্দীগ্রামে ১৮.৫ কিলোমিটার রেল লাইন হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগে দিঘা–তমলুক রেললাইনের সঙ্গে নন্দীগ্রামকে সংযুক্ত করা হবে। এই কাজের জন্য আগেই কিছু জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার আরও কিছু জমি চিহ্নিত করা হবে।

প্রসঙ্গত, বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় কেন্দ্রে ছিল ইউপিএ সরকার। পরে তৃণমূল কংগ্রেস ইউপিএ থেকে বেরিয়ে আসে। তখনই এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে মমতার প্রস্তাবের পরে নন্দীগ্রামে রেল প্রকল্পের জন্য জমি চিহ্নিত থেকে অধিগ্রহণ এবং স্টেশনের কাজ কিছুটা এগিয়েছিল। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় নন্দীগ্রামের মানুষ সেখানে রেল স্টেশন তৈরির আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী সেখানে রেলপথ তৈরির জন্য রেলকে চিঠি পাঠান। তারপরে বুধবার রেলের আধিকারিকরা নন্দীগ্রামে রেলপথ তৈরির জায়গা পরিদর্শন করেন। 

যদিও ভূমি দাতা স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রেলের প্রতিশ্রুতি মতো তাঁরা এখনও চাকরি পাননি। জেনারেল ম্যানেজার ঘুরে গেলেও তাঁরা কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না বলেই জানান। তাঁরা আরও জানান, এই ঘুরে যাওয়া শুধুমাত্র দেখানোর জন্য। কবে চাকরি পাবেন বা আদৌও চাকরি হবে কিনা তা নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।