Offbeat Darjeeling Tour: কালিম্পংয়ের তিন বোনের ঝর্ণা, পাশে গিয়ে বসুন, প্রথম প্রেমের কথা মনে পড়বে, অপরূপ গীতখোলা

মেঘালয়ের সেভেন সিস্টার্সের নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। তবে এটা সেভেন সিস্টার্স নয়, এটা হল থ্রি সিস্টার্স ওয়াটারফলস। মানে তিন ঝর্ণার জায়গা কালিম্পংয়ের গীতখোলা। যেদিকে তাকাবেন শুধু ঝর্ণা আর ঝর্ণা। আর সেই ঝর্ণার রিমঝিম শব্দ আপনার মনকে মাতিয়ে দেবে। খোলা আকাশের নিচে যেন নিত্যদিন গান গেয়ে চলেছে উচ্ছল ঝর্ণা। কী আনন্দ আকাশে বাতাসে! সেই আনন্দের স্বাদ পেতে হলে আপনাকে যেতেই হবে কালিম্পংয়ের গীতখোলা।তবে শুধু ঝর্ণা নয়, পাহাড়ের প্রায় ৫৬০০ ফুট উচ্চতায় এখানে আছে নকডারা হ্রদ। সেটাও দেখে আসতে পারেন।

নিউমাল জংশন থেকে মালবাজারের ওদলাবাড়ি হয়ে আপনি চলে যেতে পারেন গীতখোলা । তবে গীতখোলাতে রাত্রিযাপন না করে পর্যটকদের অনেকেই লুনসেল বা ঝান্ডিতে থাকেন।

অনেকেই বলেন, একটা সময় ইংরেজ শাসকরা এখানকার জঙ্গল থেকে গাছ কেটে ব্যবহার করত। মূলত প্রাকৃতিক সম্পদকে নষ্ট করত তারা। তবে এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই। এখানে একটা বেশ পুরানো লোহার ব্রিজও আছে । চার পাঁচটা নির্জন। অন্যরকম একটা অনুভূতি হবে। তবে পুরনো ব্রিজ হওয়ার কারণে একটু সাবধানে ওঠানামা করবেন।।

গীতখোলা মূলত ঝর্ণার জন্য বিখ্যাত। বর্ষার পর সেই ঝর্ণার রূপ যেন অন্যরকম হয়ে যায়। পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসছে অপূর্ব সেই ঝর্ণা। সেই জলধারার পাশে কিছুক্ষণ বসে থাকুন। নাগরিক কোলাহল থেকে অনেক অনেক দূরে। এই স্মৃতি আপনার মনে চিরদিন থেকে যাবে।

ছোট্ট ব্রিজের ওপর থেকে নীচের দিকে তাকান। নীচে দিয়ে বয়ে চলেছে জলধারা। সেই জলধারার একটানা শব্দ আপনাকে মোহিত করে দেবে। তবে বেশি ঝুঁকি নিয়ে ঝর্ণার কাছাকাছি যেতে যাবেন না। এতে বড় বিপদের আশঙ্কা থাকে। বর্ষার পর গেলে একটু সাবধানে! ব্রিজের উপরটা বেশ পিছল থাকে। সুতরাং সঙ্গে বাচ্চা থাকলে সাবধানে যাতায়াত করবেন।

তবে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তায় যাতায়াতের পথে যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখবেন তা আপনার মনকে মুগ্ধ করে দেবে। এই পাহাড়ের টানে, এই গীতখোলার টানে বছরের পর বছর এখানে আসছেন পর্যটকরা। যে স্মৃতি নিয়ে তাঁরা ফিরছেন তা সঙ্গী হয়ে থাকবে জীবনভর।