Saayoni on Nusrat: আবার প্রলয়! নুসরতের ‘ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি,’ মুখ খুললেন সায়নী

দুজনেই অভিনেত্রী। একজন সাংসদ। আর অপরজন বিজেপির কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তবে তিনি এখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় যুব নেত্রী। একজন নুসরত জাহান। তৃণমূলের সাংসদ। আর অপরজন সায়নী ঘোষ।

বঙ্গবাসীর অনেকের মতে, এই দুই নেত্রী-অভিনেত্রীর মধ্য়ে এখন অনেক মিল। সায়নী নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। ইতিমধ্য়ে একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর নুসরতের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে। ফ্ল্যাটের নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ নুসরতের বিরুদ্ধে। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন সায়নী।

সায়নী বলেন, ‘আমি নিজের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে বুঝেছি মিডিয়া ট্রায়াল একটা বড় ব্যাপার। আদালতের তরফে কিছু জানানোর আগেই মিডিয়াতে লেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণের আগে দোষী বলা হচ্ছে। সেটা তো ঠিক নয়। আমার সঙ্গে নুসরতের কথা হয়নি। তবে এটা ঠিক, ভিউজ বা টিআরপির জন্য অন্য কারো ক্ষতি হচ্ছে সেটা ভাবা উচিত।’ আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

অনেকেই বলেন,যত দিন গিয়েছে বাংলার রাজনীতির ময়দানে ততই পরিণত হয়েছেন সায়নী। ইদানিং বেফাঁস কথা বিশেষ বলেন না। কীভাবে ভিড়কে নিজের দিকে টেনে নিয়ে আসতে হয় সেটাও মোক্ষম জানেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ উপস্থিতি তাঁর। নুসরতের কেলেঙ্কারি নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি তিনি। তবে সম্প্রতি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পরে সায়নীকে নিয়ে বাংলা জুড়ে কথা কিছু কম হয়নি। কিন্তু বাংলার মাঠে সুকৌশলে সেই সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন সায়নী।

তবে যেভাবে ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে থাকেন তিনি, যেভাবে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটেন তিনি সেভাবে কিন্তু আজকাল তাঁর একান্তই নিজের জায়গা সেই সিনেমার দুনিয়ায় সেভাবে দেখা যায় না তাঁকে। এনিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, হ্যাঁ অবশ্যই সচেতন ভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এখন আর চরিত্রহীনের মতো সিরিজ করতে পারব? তাহলে তো পার্টির চরিত্র বা সংগঠনের যারা যারা আছেন তাঁদের চরিত্র নিয়ে টানাটানি হয়ে যাবে। জানিয়েছেন সায়নী।

সায়নীর নতুন সিরিজ আসছে আবার প্রলয়। কিন্তু অনেকের মতে, যেভাবে নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে দলের তাবড় নেতাদের বিরুদ্ধে তাতে তৃণমূলের অন্দরে বার বারই ধেয়ে আসছে প্রলয়। ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে দল। গরাদের ওপারে চলে যাচ্ছেন হেভিওয়েট নেতারা। কিন্তু আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু যুব সভানেত্রী শেষ পর্যন্ত তাঁর সিনেমার জগতে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তা নিয়ে অনেকের নানা সংশয় রয়েছে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলের আস্থা রয়েছে সায়নীর উপর। ২০২৪ এর আগে সম্ভবত দলের বড় দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি।