তৃণমূল ভবনে ডেকে হুমায়ুঁর বিষদাঁত ভাঙলেন বক্সি – ববি

পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আলাদা দল গড়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়ে ফেলেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। ভোট মেটার পর দল শো – কজ করতেই নরম হয়েছিল সুর। আর শনিবার তৃণমূল ভবনে দলীয় বৈঠকে হুমায়ুনের বিষদাঁত ভাঙল তৃণমূল। বৈঠকে কথা দিয়ে এলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব।

ভরতপুরে পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টনে দলীয় বিধায়কের সুপারিশকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন হুমায়ুন। এমনকী অধীর চৌধুরীর প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর মুখে। নতুন দল গড়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। ভোট মিটতে হুমায়ুনকে শো – কজ করে তৃণমূল। শো কজের জবাব দিতে তৃণমূল ভবনে হাজির হলে দলের নেতা সুব্রত বক্সি তাঁকে জানিয়ে দেন, জবাব দিতে হবে লিখিতভাবে। এর পরই হুমায়ুনের সুর খাদে নামে।

চলতি মাসে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ইমামদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভার আয়োজন উপলক্ষে শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের তরফে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। হাজির থাকতে বলা হয়েছিল মালদা ও মুর্শিদাবাদের মুসলিম নেতাদের। ডাক পেয়েছিলেন হুমায়ুন কবিরও। বৈঠক শেষে বেরিয়ে হুমায়ুন বলেন, ‘বক্সিদা, ববিদা আমাকে নেত্রীর নির্দেশ জানিয়েছেন। সবাইকে নেত্রীর নির্দেশ মেনে চলতে হবে।’ এমনকী যাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে সরব হয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী সাওনী সিংহরায় ও চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধেও এদিন চুপ ছিলেন তিনি।

শুক্রবার বিধানসভায় দলবিরোধী মন্তব্য করার জন্য ববি হাকিমের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান হুমায়ুন। এর পর তিনি বলেন, ‘দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে আমার সম্পূর্ণ ভরসা আছে।’