7th Pay Commission DA: বাংলার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করলেন, রাষ্ট্রপতিকে ইমেল

রাজ্যে এখনও ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে আন্দোলন চলছে। এই নিয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় সোচ্চার হচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি তুলেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মীরা। এই আবহে এবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করে বসলেন। এমনকী সরাসরি তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ইমেল করলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

এদিকে ডিএ আন্দোলন নিয়ে দিনের পর দিন আওয়াজ জোরালো করছেন সরকারি কর্মচারীরা। যদিও কিছুদিন আগে একটা ডিএ দেওয়া হয়েছিল। আর সেটাকে ভিক্ষা হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন কর্মীরা। এই ইস্যুতে কোনওভাবেই পিছু হঠতে নারাজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাই এবার একেবারে মরিয়া পদক্ষেপ করলেন তাঁরা। এখানে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা রাষ্ট্রপতির কাছে গণহারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেন। তাতে আরও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, যেহেতু বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার সেহেতু ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে এসব কথা শুনতে নারাজ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী এবং কর্মরত সরকারি কর্মীরা। তাঁদের একটাই বক্তব্য, ডিএ বা মহার্ঘভাতা পাওয়া তাঁদের নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। অবসরপ্রাপ্তদের জ্বালা আরও বেশি। কারণ একদিকে সংসারের অন্যান্য খরচ। তার সঙ্গে বড় খরচ চিকিৎসা ও ওষুধ কেনা। সামান্য পেনশনে সবটা করা সম্ভব নয়। ডিএ বা মহার্ঘভাতার টাকা তাঁদের হকের পাওনা। তা পেলেই এইসব খরচ সামলানো সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা। তাই এবার চরম পথে হেঁটেছেন তাঁরা। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা এবার একেবারে সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর জন্য আবেদন করলেন। এমন ঘটনা যে ঘটবে তা কেউ ভাবতেও পারেননি।

আরও পড়ুন:‌ বেহালার পর দ্বিতীয় হুগলি সেতু, যুবতীর স্কুটিতে বেপরোয়া লরি ধাক্কা মারতেই মৃত্যু

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে এখন মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেটার নিষ্পত্তি হয়নি। শহিদ মিনারে চলছে সরকারি কর্মচারীদের অবস্থান মঞ্চ। এবার এমন কাণ্ড ঘটিয়ে দেওয়ায় সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ডিএ বা মহার্ঘভাতা, শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ, যোগ্য অনিয়মিত চাকরিরতদের নিয়মিত করা নিয়ে রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে লিখিত দাবি পাঠিয়েছেন। কিন্তু এবার চরম পদক্ষেপ হিসাবে গণহারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেন তাঁরা।