Age of Candidate: ভোটে প্রার্থী হওয়ার বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করা দরকার, প্রস্তাব সংসদীয় কমিটির, কেন?

সংসদে ও বিধানসভায় লড়াই করার ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়সসীমা ২৫ থেকে কমিয়ে ১৮ করার ব্যাপারে সুপারিশ করল সংসদীয় প্যানেল। মূলত যাতে আরও বেশি সংখ্যক যুব সমাজ এই নির্বাচনী ব্যবস্থার মধ্য়ে যুক্ত হতে পারেন সেকারণে এই সুপারিশ। সেই সঙ্গেই একাধিক ক্ষেত্রে সরকার ও দেশের নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছে ওই সংসদীয় কমিটি। 

‘Specific Aspects of election process and their reform’ শীর্ষক ১৩২ তম রিপোর্টে এই সুপারিশ করা হয়েছে। শুক্রবার এই রিপোর্টটি সংসদে পেশ করা হয়। বিজেপি সাংসদ সুশীল কুমার মোদী এই স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন। 

কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, কমিটির পর্যবেক্ষণ হল প্রার্থী হওয়ার বয়স সীমা যদি কমিয়ে দেওয়া যায় তবে আরও বেশি সংখ্যক যুব সমাজ গণতান্ত্রিক এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। গোটা বিশ্বজুড়েই এই ব্যবস্থাটি প্রচলিত রয়েছে। কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াতে এই ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে ১৮ বছর হলেই প্রার্থী হওয়া যায়। এই দেশগুলিতে দেখা যায় যুব সমাজ অত্যন্ত গণতন্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেয়। এক্ষেত্রে বিশ্বের একাধিক নজিরকে তারা তুলে ধরেছেন। যেমন ক্লাইমেট অ্য়াক্টিভিস্ট গ্রেটা থুনবার্গ। তিনি ফ্রাইডে ফর ফিউচার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। মার্চ ফর আওয়ার লাইভসের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। 

কমিটির প্রস্তাব বিধানসভা ও সংসদে লড়াই করার ক্ষেত্রে বয়সসীমা কমিয়ে দেওয়া দরকার। তাঁদের মতে, কমবয়সী প্রার্থীরা খুব সহজেই মানুষের সঙ্গে সংযোগ করতে পারেন। পরস্পরের মধ্য়ে সহযোগিতার বন্ধন তৈরি করে ফেলতে পারেন। এর জেরে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়তে পারে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলি আরও সাবলীলভাবে হয়। 

প্রসঙ্গত বর্তমানে বিধানসভা ও লোকসভার ক্ষেত্রে ভোটে দাঁড়াতে গেলে কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হয়। তবে কমিশন আগেই জানিয়েছিল, এই বয়স কমানোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের যুক্তি ছিল ১৮ বছর বয়সে কেউ যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, রাজনৈতিক পরিপক্কতা থাকবে এটা ভাবা অযৌক্তিক।

অন্যদিকে কমন ইলেকটোরাল রোল নিয়েও সতর্ক হয়ে পা ফেলার কথা জানিয়েছে কমিটি। প্রসঙ্গত দুই ধরনের ভোটার তালিকা হয়। সাধারণ ভোটার তালিকা। এটা লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের জন্য কাজে লাগে। এটা ভারতের নির্বাচন কমিশন দেখে। আর পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনের জন্য আলাদা ভোটার তালিকা। সেটা রাজ্য নির্বাচন কমিশন দেখাশোনা করে।