Imran Khan imprisonment: তোশাখানা মামলায় ইমরান খানের ৩ বছরের জেল, ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে ‘অযোগ্য’ ঘোষিত

তোশাখানা মামলায় বড়সড় বিপাকে ইমরান খান। এই মামলায় তাঁকে ৩ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি তাঁকে ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে ‘অযোগ্য’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আগামি ৫ বছর ইমরান লড়তে পারবেন না কোনও ভোট। এছাড়াও পাক রাজনীতি থেকে তাঁকে ৫ বছরের জন্য থাকতে হবে দূরে। 

উল্লেখ্য, তোশাখানা মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন অবৈধভাবে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন সেই সমস্ত উপহার, যা পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসাবে উপহার পেয়েছে। এদিকে, তোশাখানা মামলায় ইমরানকে যে সাজা শোনানো হয়েছে, তাতে অন্যতম সাজা হল, রাজনীতি থেকে ৫ বছরের জন্য ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হওয়া। এদিকে, পাকিস্তানে ভোট হতে চলেছে নভেম্বরের প্রথমের দিকে। ফলে ইমরানের সেই ভোটে অংশ নেওয়ার পরিস্থিতি থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, আজ পাকিস্তানের কোর্টে বিচারপতি হুমায়ুন দিলওয়ার ঘোষণা করেছেন যে, তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে দোষী তা প্রমাণিত হয়েছে। ফলে তিনি আপাতত সাজা পাওয়ার যোগ্য।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’ জানিয়েছে, আদালত তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধানকে১০০০০০০ রুপি জরিমানা করেছে। তোশাখানা উপহারের বিবরণ গোপন করার জন্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি ফৌজদারি অভিযোগে ১০ মে এই মামলায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করে। ইমরানের বিচারের সময় ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে ভুয়ো বিবরণ জমা দিয়েছেন এবং দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সেদেশের ১৭৪ ইলেকশন অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান খান। কোর্ট জানিয়েছে, কোর্চের নির্দেশের একটি চিঠি পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পুলিশের প্রধানের কাছে পাঠানো হবে। এর আগে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরানকে এই তোশাখানা মামলা ‘অযোগ্য’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। কমিশনই তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা নিয়ে আসে। মিথ্যা বিবৃতি এবং ভুল ঘোষণাপত্র পেশ করে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় উপহার নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগ ছিল ইমরানের বিরুদ্ধে। তোশাখানা হল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন একটি বিভাগ যা অন্যান্য সরকার প্রধান এবং বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা শাসক এবং সরকারী কর্মকর্তাদের দেওয়া উপহার সংরক্ষণ করে।